অমর একুশে গ্রন্থমেলা বাঙ্গালির প্রাণের মেলা। এ মেলা শুধু বইয়ের নয়, অন্যতম এক আড্ডার মেলাও। আর তাইতো বই আর আড্ডা একসঙ্গে জড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এবারের মেলা।পাঠক-দর্শনার্থীদের কাছে এবারের মেলা ভিন্নস্বাদের বৈচিত্র্য নিয়ে এসেছে। কারণ বাংলা একাডেমি চত্বরের পাশাপাশি মেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিস্তৃত পরিসরেও অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে কবি-সাহিত্যিক বা পাঠক-দর্শনার্থীদের থেকে বেশি খুশি প্রকাশকরা।এ প্রসঙ্গে জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ও আগামী প্রকাশনীর স্বত্ত্বাধিকারী ওসমান গণি বলেন, বড় পরিসরে মেলাকে নিয়ে আসায় পাঠক বই কেনার আগে নেড়েচেড়ে দেখতে পারছেন। কিন্তু একাডেমি চত্বরের অভ্যন্তরে তা সম্ভব ছিল না। ফলে তখন অনেকেই বই না কিনে চলে যেতে বাধ্য হতেন। এখন সে শঙ্কাটি কেটে গেছে।তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার মেলার তৃতীয় দিন অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে। অনেক পাঠকের হাতেই বই দেখা যাচ্ছে, একাডেমি চত্বরের অভ্যন্তরে থাকলে মানুষের চাপে গিজগিজ করতো। কিন্তু এখন সবাই স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করে বই দেখতে পারছে।অনুপম প্রকাশনীর স্বত্ত্বাধিকারী মিলন কান্তি নাথ বলেন, মেলা বড় পরিসরে আসায় বেশ ভাল হয়েছে, এবার মেলার দর্শনার্থী ও বিক্রয়কর্মীদের জন্য টয়লেট থাকায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না কাউকে। তবে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, মেলার মাঠে পর্যাপ্ত পানি ছিটানো হচ্ছে না, রাতে আলোর স্বল্পতার কারণে পাঠকরা স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারছে না। এসব দেখভালের দায়িত্ব একাডেমির, কিন্তু তারা তা দেখছে না।বড় পরিসরে মেলা আয়োজন নিয়ে রাজধানীর মিরপুর থেকে আগত আব্দুল জলিল বলেন, সারাটা বছর অপেক্ষায় থাকি কখন প্রাণের মেলা শুরু হবে। গতকাল আসতে পারিনি, তাই আজ চলে এলাম। কিনে ফেললাম কয়েকটি বইও। পরিসর বড় হওয়ায় বেশ আয়েশে বই কেনাকাটা করা যাচ্ছে। তিনি বলেন, একাডেমি চত্বরে মেলাটি হলে ভাষা আন্দোলনের যে আবেগটি সারা শরীরে খেলে যেত, সেটির অভাব অনুভব করছি।আরকে/এআরএস/এমএস
Advertisement