অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার ‘বৃহস্পতি এখন তুঙ্গে’। এই সেদিন হাবিুল বাশারকে টপকে অধিনায়কেদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতা অধিনায়ক হয়েছেন। পরিসংখ্যানের বিচারে তিনিই বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক। আরও একটি ঐতিহাসিক সাফল্যের হাতছানি তার সামনে। তার নেতৃত্বেই ১০০ নম্বর ওয়ানডে জয়ের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ।আগামীকাল বুধবার আফগানিস্তানের সাথে বাংলাদেশ জিতলেই শততম ওয়ানডে জেতা হয়ে যাবে বাংলাদেশের। মাশরাফি হবেন সে সাফল্যর মিশনের অধিনায়ক। অন্য যে কেউ হলে আবেগে গা ভাসাতেন। বলতেন, ভাই আমার নেতৃত্বে এমন সাফল্যের হাতছানি! দারুণ পুলক অনুভব করছি। একটা রোমাঞ্চকর অনুভুতি কাজ করছে ভেতরে। কিন্তু মাশরাফি তার ধারকাছ দিয়েও গেলেন না। অধিনায়ক হিসেবে এমন এক ঐতিহাসিক সাফল্যর দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েও নির্লিপ্ত টাইগার ক্যাপ্টেন। আপনার অধিনায়কত্বে দল ১০০ নম্বর ওয়ানডে জয়ের দ্বারপ্রান্তে। কেমন লাগছে?মঙ্গলবার প্রেস কনফারেন্সে উঠল এ প্রশ্ন। মাশরাফি ভাবলেশহীন।যে জবাব দিলেন, তার ভাবার্থ এরকম, ‘এখন নয় আমি দল পরিচলনার দায়িত্বে। এখন হয়ত আমি আছি। আমি না থাকলে কেউ না কেউ অধিনায়ক থাকতেন।’ বুধবার টাইগাররা জিতে গেলে মাশরাফি হবেন শততম জয়ের অধিনায়ক। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে তার নাম। প্রথম ওয়ানডে জয়ী দলের অধিনায়ক হিসেবে আকরাম খান এখনো ইতিহাসের পাতায়। আর ৫০ নম্বর ম্যাচ জেতা দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের নামও বড় অক্ষরে লেখা। তাদের পাশে মাশরাফির নাম।অধিনায়ক মাশরাফি নির্লিপ্ত থাকলেও ক্রিকেটার মাশরাফি কিন্তু আবেগতাড়িৎ। আচ্ছা, অধিনায়ক মাশরাফিকে আবেগতাড়িৎ না করুক, ক্রিকেটার মাশরাফি শততম জয়ের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে কী ভাবছেন?বুধবার দুপুরে প্রেস কনফারেন্সের পর বাংলাদেশ ড্রেসিং রুমের সামনে দাঁড়িয়ে জাগো নিউজের সাথে এ প্রশ্ন মুখোমুখি হয়ে ক্রিকেটার মাশরাফির জবাব, ‘যে কোনো দেশের যে কোনো ক্রিকেটারের জন্য এটা অনেক ভালো লাগার। একজন ক্রিকেটার তার দেশের শততম জয়ের ম্যাচের সাক্ষী, এটা অনেক বড় অর্জন কিনা জানি না, তবে আবেগের দিক থেকে অনেক বড়। ক্রিকেটার হিসেবে আমিও ঐ শুভক্ষণের অপেক্ষায় উন্মুখ। আমার দেশের ১০০ নম্বর ওয়ানডে জয়ের ম্যাচে আমি ছিলাম, ভাবতেই অন্যরকম পুলক জাগছে।’এআরবি/এনইউ/বিএ
Advertisement