জাতীয়

৭ বছরে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জানিয়েছেন, গত ৭ বছরে দেশে গড়ে দ্রব্যমূল্য ৭ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে গত (২০১৫-১৬) অর্থবছরে এই বৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ৪ দশমিক ৯ শতাংশ।মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে মাদারীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. আবদুল্লাহর অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণেই দেশীয় বাজারে কয়েকটি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। যেহেতু আন্তর্জাতিক বাজার হতে আমদানি করে স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করা হয়। তাই আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি পেলে স্থানীয় বাজারে এর প্রভাব পড়ে। তিনি আরো বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকার বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করেছে।  আপদকালীন সময়ে সরকার টিসিবির মাধ্যমে পণ্য ক্রয় করে সূলভমূল্যে বাজারে বিক্রি করছে।চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল বলেন, আমদানি পণ্যে দেশ তেজস্ক্রিয়তা ঝুঁকিতে রয়েছে-এটা সত্য নয়। তেজস্ক্রিয়তার সম্ভাবনা থাকলে সেই পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয়তা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. নুরুল ইসলাম ওমরের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সাফটার আওতায় ভারতে বাংলাদেশের রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভারতের বাজারে বাংলাদেশ ২০১১ সালের ৯ নভেম্বর থেকে মদ ও তামাকজাতীয় ২৫টি পণ্য ব্যতীত সকল পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা রয়েছে। শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রাপ্তির পর থেকে ভারতে রফতানির পরিমাণ ক্রমন্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।তিনি বলেন, ২০১৩-১৪, ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ভারতে যথাক্রমে ৪৫৬.৬৩ মিলিয়ন, ৫২৭.২৪ মিলিয়ন এবং ৬৮৯.৬২ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করা হয়েছে। কোনো প্রকার শুল্ক, অশুল্ক বাধার উদ্ভব হলে তাৎক্ষণিকভাবে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ভিত্তিতে নিরসন করা হচ্ছে। উভয় দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য যুগ্মসচিব পর্যায়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ ও সচিব পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনার ব্যবস্থা রয়েছে।এইচএস/আরএস/আরআইপি

Advertisement