ছোট বড় মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১৩ বার ছুরিকাঁচির নিচে গেছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। বয়সও ৩৩ ছুঁই ছুঁই। কিন্তু বোলিংয়ের ধার এখনো কমেনি বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এ অধিনায়কের। রোববার দুর্দান্ত বোলিং করে দলের জয়ে রেখেছেন দারুণ ভূমিকা। দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের রহস্য জানতে চাইলে অধিনায়ক জানান, সঠিক জায়গায় ধারাবাহিকভাবে বোলিং করাই তার লক্ষ্য।মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সাংবাদিক সম্মেলনে নিজের বোলিং সম্পর্কে মাশরাফি বলেন, ‘উইকেট যেমনই হোক, এমনকি ফ্লাট উইকেট হোক আমি সব সময় চেষ্টা করি একটা জায়গায় ধারাবাহিকভাবে বল করে যেতে। আধুনিক ক্রিকেটে যেটা হয়েছে, ব্যাটসম্যানরা একটু বেশি চার্জ করে। তারপরও আমি মনে করি ধারাবাহিকভাবে আপনি সফলতা পাবেন যদি এক জায়গায় বল করে যেতে পারেন। আমি সব সময় ওটায় ফোকাস করি।’তবে ধারাবাহিকভাবে এক জায়গায় বোলিং করার পাশাপাশি ভাগ্যকেও প্রয়োজন বলে মনে করেন মাশরাফি, ‘আর এর সঙ্গে ভাগ্য অবশ্যই দরকার আছে। আগের দিনে ওদের রান ছয় করে লাগত। এরপর ৩০ ওভারের পর আমি আর সাকিব বোলিংয়ে আসি। সৌভাগ্যবশত আমরা সাতে রান নিয়ে যেতে পেরেছি।’বোলিংয়ের পাশাপাশি অধিনায়কত্বটাও উপভোগ করছেন মাশরাফি। মাঠে সিদ্ধান্ত স্বাভাবিকভাবে নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। বোলিং এবং অধিনায়কত্ব দুটোতেই সমান ফোকাস থাকে বলেও জানান অধিনায়ক। প্রতিটি কাজ আলাদাভাবে করেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।‘আসলে আমি এত জটিল করে নিই না। আমি বোলিং ও সিদ্ধান্তগুলো স্বাভাবিকভাবে নেওয়ার চেষ্টা করি। এ দুটোতেই আমার ফোকাস থাকে। আলাদা করে প্রতিটি কাজ করার চেষ্টা করি। এটা আসলে অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। এক-দুই বছর অধিনায়কত্ব করছি। আগের থেকে রিল্যাক্স থাকতে হয়।’উল্লেখ্য, আগের দিনই বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়কের খাতায় নাম লিখিয়েছেন মাশরাফি। তার নেতৃত্বে সর্বাধিক ৩১ টি ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।আরটি/এনইউ/আরআইপি
Advertisement