অমর একুশে বইমেলার তৃতীয় দিন মঙ্গলবার দর্শনার্থীদের বেশ ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া এবার মেলায় বেশ পরিবর্তন এসেছে। শুধু স্টল বিন্যাস ও সাজ-সজ্জায় নয়, আঙ্গিকগত অনেক পরিবর্তনই লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবারের মেলায়।গত বছরের তুলনায় মেলার পরিসর বড় হওয়ায় এবার ইউনিটের আকার যেমন বড় হয়েছে, তেমনি স্টল বিন্যাসেও এসেছে নতুনত্ব। ফলে মেলা জুড়ে রয়েছে বেশ ফাঁকা স্থান। এতে পাঠক-দর্শনার্থীদের স্বাচ্ছন্দ্যে মেলা ঘুরে দেখতে কোন বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে না। পাঠকরা মনের আনন্দে বই নেড়েচেড়ে দেখতে ও কিনতে পারছে। মঙ্গলবার সময় গড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেলায় বাড়তে শুরু করে দর্শনার্থীদের ভিড়। সন্ধ্যার পর পাঠক ও দর্শনার্থীর সরব উপস্থিতিতে মেলা বেশ জমজমাট হয়ে উঠে। প্রকাশক ও বিক্রেতারা জানান, প্রথম দুই দিনের চেয়ে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি বেশি হওয়ায় বিক্রিও বেশ ভাল হয়েছে। শিশু একাডেমির কামাল হুসাইন জানান, অমর একুশের বইমেলা এখন কোন বাণিজ্যিক বিষয় নয়, এটা আমাদের সাংস্কৃতিক জীবনের সঙ্গে মিশে গেছে। মেলা আছে বলেই এখনও মানুষের বই পড়ার অভ্যাস রয়েছে। তা না হলে ইন্টারনেট ও ডিস চ্যানেলের যুগে কবে তা হারিয়ে যেত। তরুণ লেখক কাদের বাবু বলেন, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ শুধু ঘুরতে বা আড্ডা দিতেই মেলায় আসছেন না, বইকে ভালবাসেন বলেই তারা আসছেন। আর এই মেলার কারণেই ক্রমশ পাঠকের সংখ্যা বেড়ে চলেছে।আগামী প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী ওসমান গনি বলেন, মেলার পরিধি বাড়ানো নিয়ে আমাদের দীর্ঘ দিনের আন্দোলন এবার সফলতার মুখ দেখেছে। সেই সঙ্গে মেলায় প্যাভেলিয়ন চালু হওয়ায় আমরা এক নতুন যুগে পদার্পন করেছি। একটি ভাল মেলা করতে হলে চাই খোলামেলা জায়গা। এবার সেটি হয়েছে। মেলা চত্বরে বেশ খোলামেলা স্থান রয়েছে। এর ফলে পাঠক বই নেড়েচেড়ে ও দেখে তা কিনতে পারছেন। তিনি আরও বলেন, আগামীর ১৫’শ প্রকাশনা রয়েছে। আগে তিন ইউনিটের স্টলে আর ক’টি বই সাজাতে পারতাম। এবার প্যাভেলিয়ন হওয়ায় পাঠকদের দেখার জন্য অনেক বই প্রদর্শন করতে পারছি। এতদিন পাঠকরা বুকলিস্ট দেখে বিশ্বাস করে পছন্দের বই কিনতেন। এবার তারা বই নেড়েচেড়ে দেখে কিনতে পারবেন।মঙ্গলবার মেলায় নতুন বই এসেছে ১০১টি। এরমধ্যে কবিতা ও উপন্যাসের সংখ্যা বেশি।আরকে/এএইচ/আরআইপি
Advertisement