ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ তখন আফগানদের হাতে। ৫ উইকেট অক্ষত থাকা অবস্থায় আফগানদের ২৪ বলে দরকার ২৮ রানের। ওভার পিছু লক্ষমাত্র মোটে ৭ রান। এরকম অবস্থায় বাংলাদেশ ড্রেসিং রুমে হেড কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে আর পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ একটি কথাই বারবার বলেছেন, ‘আমাদের মাত্র দুটি ভালো ওভার প্রয়োজন। দুটি ওভারই বদলে দিতে পারে খেলার ভাগ্য।’ রোববার দুপুরে মিডিয়ার সাথে আলাপে সে তথ্য জানিয়ে ওয়ালশ বলেন, ‘আমরা ড্রেসিং রুমে নিজেদের মধ্যে একটি কথাই বলেছি শুধু, ম্যাচ ঘুরাতে পারে মাত্র দুটি ভালো ওভার। অন্য সময় যতটা ভালো হয়, রোববার বোলিং-ফিল্ডিং কোনোটাই তেমন ভালো হয়নি।তারপরও আমরা বলছিলাম, উইকেটের পতন ঘটাতে পারলেই বোলিং ভালো হয়ে যাবে। ফিল্ডিংটাও হবে চোস্ত। আমাদের সম্ভাবনাও বাড়বে অনেক। ঠিক সময় দরকারি কাজটি করে দিয়েছে সাকিব আর তাসকিন। ডেড ওভারে তাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচ ঘুরে যায়।’ তবে ওয়ালশ মনে করেন, অঅসল কাজ করে দিয়েছেন সাকিবই। তার চোখে সাকিবের করা ৪৭ নম্বর ওভারটিই ছিল ম্যাচ নির্ধারণী ওভার। ঐ ওভারে সাকিব মাত্র এক রান দিলে আফগানদের ওভার পিছু রানের লক্ষমাত্রা ৭ থেকে বেড়ে ৯-এ চলে যায়। এতে করে শুধু প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের চাপই বাড়েনি, আমাদের বোলারদেরও সাহস বেড়ে যায়। এক কথায়, আসল সময় আমাদের টিম পারফরমেন্স হয়ে ওঠেছে দারুণ।’ এআরবি/এনইউ/পিআর
Advertisement