ভারতের তেলেঙ্গানায় টানা বৃষ্টিপাতের কারণে তিনদিন ধরে কর্মস্থলে যেতে পারেননি অজিত যাদব। তেলেঙ্গানার চেরলাপল্লীতে খাবার তৈরির একটি কারখানায় কাজ করতেন তিনি। তিনদিন পর রোববার গিয়ে দেখেন কারখানার দরজা বন্ধ; ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে কর্মস্থল। কাজে যোগ দিতে পারেননি যাদব; কারণ তার মালিক জানিয়েছেন, কারখানা পুনরায় চালু করতে এক মাস সময় লাগতে পারে। ঝারখণ্ড থেকে কাজের সন্ধানে তেলেঙ্গানায় পাড়ি জমিয়েছিলেন যাদব। দেশটির জাতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়াকে তিনি বলেন, ‘আমার বাড়িতে খাওয়ার জন্য বেশ কয়েকজন আছে কিন্তু বন্যার কারণে তারা না খেয়ে আছে। কষ্টে আছি।’ স্থানীয় সূত্র বলছে, বৃষ্টির কষাঘাতে জর্জরিত তেলেঙ্গানার ৩৫ হাজার শ্রমিকের জীবনে নেমে এসেছে অন্ধকার; অজিতের কষ্টের গল্প এর মধ্যে একটি। ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে তেলেঙ্গানার কুতবুল্লাহপুর, দুলাপল্লী, জিদিমেতলা, চেরলাপল্লী, কুকাটপল্লী এবং বালানগরের নিম্নাঞ্চলের ১০ হাজারের বেশি ক্ষুদ্র শিল্প-প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে; ফলে অনিশ্চিত বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে এসব প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা। পানিতে ডুবে যাওয়ায় এসব এলাকার অনেক প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছেন না কর্মী এবং মালিকরাও। উড়িষ্যা, বিহার ও পশ্চিমবাংলা থেকে কাজের সন্ধানে তেলেঙ্গানায় আসা শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। রঘু নামের এক শ্রমিক বলেন, আমার কর্মস্থল ইলেক্ট্রনিক বাল্ব প্রস্তুতকারক পৌঁছে দেখি; পানি না নেমে যাওয়া পর্যন্ত সেখানে কাজের উপযোগী কোনো পরিবেশ নেই। দিন এনে দিন খেয়ে বেঁচে থাকি; আমাদের কোনো সঞ্চয় নেই। আমাদেরকে বলা হয়েছে কোম্পানি দুই মাস পর পুনরায় চালু হবে। গত কয়েকদিন ধরে খাবার জোগানো কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা কীভাবে বাঁচবো? তেলেঙ্গানা চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট রবিন্দ্র মোদি বলেন, বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর পরিমাণ এক হাজার রুপি ছাড়িয়ে যাবে।এসআইএস/পিআর
Advertisement