কেন তিনি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, তা আরেকবার প্রমাণ হলো। ক্রিকেট বিশ্ব আবারও দেখলো, জানলো সত্যিই সাকিব একজন ‘চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার’। সত্যিকার ম্যাচ উইনার। অনুকূল-প্রতিকূল সব অবস্থায় তার ব্যাট ও বল সমান কার্যকর। খালি চোখে তাসকিনের শেষ দুই ওভারে ৪ উইকেট দখলকে ম্যাচ জেতানো পারফরমেন্স বলে মনে হতে পারে; কিন্তু ক্রিকেটীয় যুক্তি, ব্যাখ্যা আর ম্যাচ কন্ডিশনকে মানদণ্ড ধরলে সাকিবই আফগানিস্তানের সাথে প্রথম ম্যাচে জয়ের আসল নায়ক। ৪০ বলে ৪৮ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংসের সাথে ১০ ওভারের মাপা স্পেল আর দু’দুটি ভাইটাল ব্রেক থ্রু‘তে আফগানদের হাত থেকে ম্যাচ বাংলাদেশের হাতে। তাই রোববার রাতে ম্যাচ সেরার পুরষ্কারটাও উঠল সাকিবের হাতে। জায়গামত পারফরম করা এবং সময়ের দাবি মেটানোয় তার যে জুড়ি নেই, তা রোববার নতুন করে প্রমাণ হলো। বল করতে এসে প্রথম ওভারেই উইকেট। আফগান ওপেনার শাবির নুরিকে লেগবিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলা। আর শেষ দুই ওভারে তাসকিনের মত চার উইকেট না পেলেও গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে দেয়া। ম্যাচের ৪১ আর নিজের নবম ওভারে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু‘টা সাকিবের হাতেই আসলো। ওই সময় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ প্রায় পুরোটাই আফগানদের হাতে। দুই মিডল অর্ডার হাশমতুল্লাহ আর রহমত শাহ‘র হাত ধরে জয়ের স্বপ্ন তখন আফগানদের বুকে। চতুর্থ উইকেটে তাদের স্বচ্ছন্দ ও সাবলীল ব্যাটিং যখন স্বাগতিক ভক্তদেও হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল, ঠিক তখনই সাকিব ফিরিয়ে দিলেন ৯৩ বলে ৭১ রান করা রহমত শাহকে। রহমত শাহকে উইকেট ছেড়ে সামনে বেরিয়ে আসতে দেখে অফস্ট্যাম্পের বাইরে থেকে খানিক টেনে দেয়া। আর তাতেই উইকেটরক্ষক মুশফিকের হাতে স্ট্যাম্পড রহমত শাহ। হাশমতুল্লাহ আর রহমত শাহ‘র ১৪৪ রানের বড় জুটি ভাঙ্গার পর ভোজবাজির মত বদলে যায় পুরো দৃশ্যপট। তারপরও খেলা আফগানদের হাতেই ছিল। ৫ উইকেট হাতে থাকা অবস্থায় ২৪ বলে দরকার ২৮ রান- এমন পরিস্থিতিতে সাকিব নিজের শেষ ওভারে মাত্র এক রান দিলে ওভার পিছু লক্ষ্যমাত্রা ৭ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়ে যায় ৯-এ। এরপরের ওভারগুলোতে মরিয়া হয়ে ব্যাট চালাতে গিয়ে তাসকিনের করা ৪৮ নম্বর ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় স্টানিকজাইয়ের দল। শেষ ওভারে তাসকিন আরও দুই উইকেট পেলে ৭ রানের স্বস্তির এক জয়ের প্রশান্তি আসলো টাইগারদের। এআরবি/আইএইচএস/এআরএস
Advertisement