লক্ষ্য মাত্র ২৬৬ রান। ওয়ানডের এই সময়ে এই লক্ষ্যটা খুবই মামুলি। দেখে-শুনে খেললে খুব সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব। আফগানিস্তানও সেই পথে হাঁটতে শুরু করেছিল। বাংলাদেশের দেয়া ২৬৬ রানের লক্ষ্য পাড়ি দিতে গিয়ে খুব ধীরে, সতর্কতার সঙ্গে এগিয়ে চলছিল তারা। বিশেষ করে দুই ব্যাটসম্যান হাশমতুল্লাহ শহিদী এবং রহমত শাহ। এ দু’জনের ১৪৪ রানের জুটি আফগানদের জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল।একই সঙ্গে ধীরে ধীরে ম্যাচ থেকে ছিটকে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটালেন সাকিব আল হাসান। ৪১তম ওভারের দ্বিতীয় বলটিতে এসে পরাস্ত হলেন ৭১ রান করা রহমত শাহ। অফসাইডে বল দিয়েছিলেন সাকিব। ক্রিজ ছেড়ে এসে খেলার চেষ্টা করলেন রহমত শাহ। মিস করলেন বলের ফ্লাইট। ফলে উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো মুশফিকের হাতে বল। মুহূর্তে উইকেট ভেঙে দিতে দেরি করলেন না তিনি। ভাঙলো আফগানদের সেরা জুটিটি।৪৪তম ওভারে আরেক বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান হাশমতুল্লাহ শহিদীকে ফিরিয়ে দিলেন তাইজুল ইসলাম। উড়িয়ে মারতে গিয়ে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দেন ৭২ রান করা হাশমতুল্লাহ। ১১০ বলে ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে এই রান করেন তিনি।জয়ের জন্য ২৬৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই ঝড় তুলেছিলেন তুই ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ এবং শাবির নুরি। যদিও দলীয় ৪৬ রানের মাথায় এই দু’জনকে পর পর ফিরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশেকে খেলায় ফেরান মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং সাকিব আল হাসান। ৩১ রান করে ফেরেন শেহজাদ এবং ৯ রান করে ফেরেন শাবির নুরি।এরপরই জুটি বাধেন হাশমতুল্লাহ শহিদী এবং রহমত শাহ। এ দু’জনের দায়িত্বশীল ব্যাটিং দৃঢ়তায় সিরিজের প্রথম ম্যাচেই জয়ের দিকে এগিয়ে চলছে সফরকারী আফগানিস্তান। জুটিতে ভাঙন ধরাতে চেষ্টার কোন কমতি রাখছেন না বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তিনি নিজে, তাসকিন, সাকিব, রুবেল, তাইজুল এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে দিয়ে বোলিং করিয়েছেন; কিন্তু লাভ কিছুই হচ্ছিল না।শেষ পর্যন্ত সফল হলেন সাকিব আর তাইজুল ইসলাম। সাকিবের বলে রহমত শাহ আর তাইজুলের বলে আউট হলেন হাশমতুল্লাহ শহিদী। এ রিপোর্ট লেখার সময় আফগানদের দলীয় রান ৪৩.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১০। ১৩ রান নিয়ে রয়েছেন মোহাম্মদ নবি। তার সঙ্গী নজিবুল্লাহ জাদরান। রানে রয়েছেন রহমত শাহ এবং ৫৬ রানে রয়েছেন হাশমতুল্লাহ শহিদী। জয়ের জন্য এখনও ৮৯ বলে প্রয়োজন ৯২ রান।আইএইচএস/পিআর
Advertisement