টানা অবরোধ আর হরতালে রংপুর থেকে ঢাকাগামী ও অভ্যন্তরীণ রুটের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা। কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এসব শ্রমিকদের অনেকেই খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। রংপুর থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন রুটে প্রতিদিন অন্তত দুই হাজার বাস ট্রাক চলাচল করে থাকে। এর সাথে জড়িত রয়েছেন অন্তত ৫০ হাজার শ্রমিক।হরতাল আর অবরোধে ৬ জানুয়ারি তারিখ থেকে রংপুরে পরিবহন বন্ধ। এ অবস্থায় চরম বিপাকে পড়ছেনে পরবিহন শ্রমিকরা। আয়ের বিকল্প কোন পথ না থাকায় শ্রমিকদের অনেকেই তাদের শিশুখাদ্য সংগ্রহ করতে পারছেন না। দিতে পারছেন না বাড়ি ভাড়া। অনেকটা না খেয়েই মরতে বসেছেন অনেকে।পরবিহন শ্রমিকরা বলেন, `আমাদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। সংসারের খাবার যোগাড় করতে পারছি না। অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছি।`পরিবহন মালিকরা জানান, একদিন গাড়ি বন্ধ থাকলে তাদের প্রায় ৪০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়। আর গাড়ির চাকা বন্ধ থাকলেও বন্ধ নেই ব্যাংকের সুদের চাকা। এ অবস্থায় উভয় সংকটে পড়ছেন তারা।রংপুর চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মোস্তফা সারোয়ার টিটো বলেন, `গাড়ি বন্ধ থাকলেও ব্যাংক ঋণের সুদ চক্রাকারে বাড়ছে। এতে করে আমরা বিপাকে পড়ছি।`রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এজাজুল হক রাজু জানান, `গাড়ি বন্ধ থাকায় রংপুরে প্রতিটি গাড়ির ২ হাজার টাকা ও গড়ে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়।`এআরএস/পিআর
Advertisement