জাগো জবস

অবসরে বৈষম্যের দ্রুত অবসান চাই

সরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা অবসরে যান ৫৯ বছরে, বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা অবসরে যান ৬০ বছরে। স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যান ৬৫ বছরে। দেখা যাচ্ছে কেউ চাকরি ছাড়েন ৫৯ বছরে, কেউবা ৬৩-তে। এ কেমন কথা! চাকরিতে অযোগ্য হওয়ার একি নমুনা! মাপকাঠি এক হলে দোষের কী! এ তারতম্য অযৌক্তিক তো বটেই, বেমানানও। যারা অবসরে যাবেন ৫৯ বছরে তাদের চাকরি শেষে পেনশন এবং গ্র্যাচুইটির প্রাপ্যতার দিকে তাকান আর যারা ৬৫/৬৭ বছরে যাবেন অবসরে, সেটার দিকেও তাকান। এই দুইয়ের প্রাপ্তি ব্যবধান কত বড় অঙ্কের, একবার ভাবুন তো। তাহলেই অবসর গ্রহণের বয়স কেন এক ও অভিন্ন করা উচিত তা সহজে ধরা পড়বে। বিদ্যমান বৈষম্য বিলোপের জন্য এ রকম আদেশনামা হতে পারে এক চমৎকার নির্দেশনা। এছাড়াও বলতে পারি, যখন বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৫০-এরও নিচে ছিল, তখন অবসরের বয়স ঠিক করা ছিল ৫৭। এখন সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭০ বছর। সুতরাং যুক্তিসঙ্গত হচ্ছে অবসর গ্রহণের বয়স ৭০ না হলেও অন্তত এর আশপাশে স্থির করা। এতে বর্তমানে সরকার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মাধ্যমে কাউকে-কাউকে যে বিশেষ সুবিধা দেয়, সে-সংক্রান্ত ঝামেলা করা আর লাগবে না। জানি, এই অবসরের বয়সসীমা বাড়াতে বলায় এর পক্ষে-বিপক্ষে কথা বলা লোকের অভাব হবে না। এ ক্ষেত্রে বলতে চাই, চাকরি-অন্বেষীদের জন্য বর্তমানের বেঁধে দেয়া নির্দিষ্ট বয়সসীমা উঠিয়ে দিন এবং যে কোনো বয়সে যে কোনো চাকরি পাওয়া ও চাকরি ছাড়ার সুযোগ অবারিত করে দিন। মোদ্দা কথা, যে কোনো বৈষম্য সর্বাবস্থায় পীড়াদায়ক। অতএব অবসর গ্রহণের বয়সসীমায় বিদ্যমান বৈষম্যের দ্রুত অবসান চাই। লেখক: বিভাগীয় প্রধান, বাংলা, গফরগাঁও সরকারি কলেজ, ময়মনসিংহ।এসইউ/আরআইপি

Advertisement