ইনিংসের প্রথম ওভারে সৌম্য সরকারকে তুলে নিয়ে চোখ রাঙ্গিয়ে ছিলেন আফগানিস্তানের পেসার দৌলত জাদরান। উড়তে থাকা জাদরানকে মাটিতে নামিয়ে আনেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ। ইনিংসের ৩৮তম ওভারে দুটি চারসহ একটি ছক্কায় ১৬ রান তুলে নেন এ অলরাউন্ডার। একই সঙ্গে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১৫তম হাফ সেঞ্চুরি।তবে অর্ধশতক করার পর বেশিদুর এগুতে পারলেন না। ঝড় তুলতে গিয়ে ফিরে গেলেন সাজঘরে। ৬২ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৭৪ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে। তার এ হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে আফগানদের বিপক্ষে বড় স্কোর গড়ার পথে রয়েছে বাংলাদেশ।এ রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশের রান ৪১.৪ ওভারে ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৯। সাকিব আল হাসান উইকেটে রয়েছেন ২০ রানে। তার সঙ্গী মুশফিকুর রহীম রয়েছেন ৩ রানে।এর আগে সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েও আউট হয়েছেন তামিম ইকবাল। আর মাত্র ২০টি রান করতে পারলে ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরিটা পেয়ে যেতেন বাংলাদেশের এই ড্যাশিং ওপেনার। কিন্তু পারলেন না আর তিনি। মিরওয়াইজ আশরাফের বলে নাভিন-উল হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে গেলেন তিনি। বাংলাদেশকে দারুণ এক ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়ে দিচ্ছিলেন তামিম ইকবাল। ইমরুল কায়েস আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে তার দুটি কার্যকরি জুটি বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। প্রথমে ইমরুলের সঙ্গে ৮৩ এরপর মাহমুদুল্লাহর সঙ্গে ৭৯ রানের জুটি গড়েন তামিম। এরপর ৩৬তম ওভারে এসে মিরওয়াইজ আশরাফের বলে লং অফের ওপর দিয়ে ছক্কা মারতে চেয়েছিলেন তিনি; কিন্তু শটটি তার মনের মতো হলো না। সুতরাং, লং অফে দাঁড়ানো নাভিন-উল হাসানের হাতে গিয়ে জমা পড়লো ক্যাচটি। ৯৮ বলে ৯টি বাউন্ডারিতে ৮০ রান করে আউট হয়ে গেলেন বাংলাদেশ দলের এই ড্যাশিং ওপেনার। এর আগে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তামিম আর ইমরুল কায়েসের ব্যাটে ভালোই এগুচ্ছিল বাংলাদেশ। তবে, ১৯তম ওভারে এসে ভুলটা করে বসলেন ইমরুল। মোহাম্মদ নবীর ফ্লাইট ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন তিনি। এ জন্য ক্রিজ ছেড়ে এগিয়েও এসেছিলেন; কিন্তু বলের গতিটাই বুঝতে পারলেন না তিনি। শেষ মুহূর্তে ব্যাটে লাগানোর চেষ্টা করেছিলেন। গতি পরিবর্তন করে সেই বলটি গিয়ে আঘাত হানলো স্ট্যাম্পে। বোল্ড। আউট হয়ে ফিরে গেলেন নির্ভরযোগ্য এই ব্যাটসম্যান। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টসে জিতে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। শুরুতে সৌম্য সরকারের উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের ব্যাটে ভর করে ভালোই এগুচ্ছিল টাইগাররা। তামিম আর ইমরুল মিলে গড়েন ৮৩ রানের দারুণ এক জুটি। ৫৩ বলে ৩৭ রান করে আউট হয়ে যান ইমরুল। আরটি/আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement