জাতীয়

দেশি পর্যটক ৮০ লাখ

দেশে অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যা ৮০ লাখ, যা মোট জনসংখ্যার মাত্র ৫ শতাংশ। তবে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে।  শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে পর্যটন শিল্পের বিকাশে ছাত্র ও যুবসমাজের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন। সেমিনারটির আয়োজন করে বাংলাদেশ ইয়ুথ অ্যান্ড স্টুডেন্ট ফোরাম ফর ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট (বি ওয়াই এস এফ টি ডি)। সার্বিক সহযোগিতা করে হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ওয়াকফ) বাংলাদেশ। সেমিনারে বক্তারা বলেন, দেশে পর্যটন শিল্পের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। কেবলমাত্র সরকার এককভাবে এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে পারবে না। এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতায় এ শিল্পের আরো বিকাশ ঘটনো প্রয়োজন। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে, নিরাপত্তা, যোগাযোগ, স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে। সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ড. অপরুপ চৌধুরী বলেন, পর্যটনকে সরকারিভাবে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে হলে বিদেশিদের সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। একজন বিদেশি পর্যটক আসলে এক হাজার ডলার খরচ করেন। সে হিসেবে আমরা যদি টার্গেট পূরণ করতে পারি তাহলে এ শিল্প থেকে অনেক আয় করা সম্ভব।  ২০১৬ সালে পর্যটন বর্ষ ঘোষণা করা হলেও চলতি বছর কয়েকটি অপ্রত্যাশিত ঘটনার কারণে অনেক বিদেশি পর্যটক অগ্রিম বুকিং দিলেও দেশে আসছে বলেও জানান তিনি। কক্সবাজার যেতে যেতে মানুষ ক্লান্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ এখন কুয়াকাটাসহ অন্য স্পটগুলোতে যেতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের পরিচালক ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, যে দেশে সন্তানকে স্কুলে দেয়ার পর বাবা-মাকে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকতে হয়, সে দেশে কেন ট্যুরিস্ট আসবে? বিশ্বে পর্যটনে যারা এগিয়ে তাদের কাউকে পাহারা দিতে হয় না। এমন পরিবেশের সৃষ্টি করতে হবে। তিনি আরো বলেন, অভ্যন্তরীণ টুরিস্টের সংখ্যা বর্তমান ৮০ লাখ। যেখানে নিজের দেশের লোকেরাই ঘুরতে যাবে না সেখানে আবার বাইরের লোক আসবে কেমনে আশা করেন? যে দেশে সরকারি কর্মকর্তারা উল্টোপথে গাড়ি চালান, আইসক্রিম খেয়ে খোসাটা রাস্তায় ফেলে, সে দেশে ট্যুরিস্ট আশা করতে পারি না। এই অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে।বাংলাদেশ ইউথ এন্ড স্টুডেন্টস ফোরাম ফর ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট (বিওয়াইএসএফটিডি) সভাপতি মোস্তফা আলমগীর রতনের সভাপতিত্বে সেমিনার সঞ্চালনা করেন বিওয়াইএসএফটিডি-এর সাধারণ সম্পাদক বাপ্পাদিত্য বসু।এতে আরো বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রীর একান্ত সচিব এটিএম নাসির মিয়া, হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ওয়াকফ) বাংলাদেশের সিনিয়র পরিচালক (বিপণন) হাকিম ড. রফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি আবুল হোসাইন প্রমুখ।এমএম/এএইচ/এমএস

Advertisement