অবশেষে মিলল মুক্তির সুবাতাস। মাথার ওপর থেকে যেন নেমে গেলো জগদ্দল পাথর হয়ে বসে থাকা বিশাল একটি বোঝা। চারদিক থেকে যে প্রশ্নবান ভেসে আসতো, সবার যে সন্দের তীর ছুটে আসতো- সবই যেন কেটে গেলো মুহূর্তের মধ্যে। অ্যাকশন বৈধ ঘোষণা করে আইসিসি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পর যেন নিজেকে খুঁজে পেলেন তাসকিন আহমেদ।নিষেধাজ্ঞা বাতিলের সংবাদ যখন আসলো তখন তাসকিন ছিলেন অনুশীলনে। মাঠেই খবরটা শুনলেন। আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হলো। অবশেষে সন্ধ্যার পর পাওয়া গেলো তাসকিনকে। বললেন, ‘এতদিন নিজেকে অপরাধী মনে হতো। এখন সে অপরাধবোধ কেটে গেছে। আমার কাছে এই বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়াটা ঈদের খুশির মত।’নিষেধাজ্ঞার এই সময়টায় বাইরের মানুষের নানা কটুকথা শুনতে হতো তাসকিনকে। মানুষজন অনেক কিছু বলতো। সবাই প্রশ্ন করতো ফিরতে পারবেন কি না। সময়টা সত্যিই কঠিন ছিল তাসকিন আহমেদের জন্য। তাসকিন নিজেই জানালেন সে সব।সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘পরিবারকে এতদিন কোন জবাব দিতে পারিনি। বাইরের মানুষজন জিজ্ঞেস করতো, কবে ফিরবো। আমার হাত সোজা হবে তো! আদৌ খেলতে পারবো কি না? এ ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হতো। এখন আর সে সব প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে না। এ কারণে ভালো লাগছে। বাবা-মাকে একটা ভালো খবর দিতে পারলাম।’পরিবর্তিত অ্যকশনে কোন পরিবর্তন আসবে কি না। কিংবা বোলিংয়ের ধার কমে যাবে কি না- এসব প্রশ্নের জবাবে তাসকিন বলেন, ‘আমার বোলিং অ্যাকশনে কোন পরিবর্তন হবে না। বোলিংয়ের ধারও কমবে না। আশা করছি এবার আগের চেয়েও ভালো হবে।’আফগানিস্তান সিরিজেই নিজেকে প্রমাণ করতে চান তাসকিন। তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষেই নিজেকে প্রমাণ করতে চাই যে আমি হারিয়ে যাইনি। আগের মতই আছি।’আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement