বিশেষ প্রতিবেদন

সরবরাহ কম, ক্রেতা বেশি দামও বেশি : বাজারে বার্মিজ ইলিশ

শরীয়তপুরের গোসাইরহাটের মাছ বিক্রেতা মোসলেম বেপারী। বড় সাইজের দুটি ঝুঁড়িতে বেশ বড় সাইজের ইলিশ মাছ সাজিয়ে নিয়ে আয়েশ করে রঙ্গিন রং চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছিলেন। একজন ক্রেতা দাম জিজ্ঞেস করতেই আঙ্গুল উঁচিয়ে দুটি ঝুঁড়ির মাছ দেখিয়ে বললেন শোনেন, ডান দিকের ঝুঁড়িতে রাখা প্রতি কেজি ইলিশ মাছের একদাম দুই হাজার ৪শ’ টাকা আর বাম দিকেরটা এক হাজার ৪০০ টাকা কেজি।হৃষ্টপুষ্ট মাছটির দিকে তাকিয়ে ক্রেতা প্রশ্ন করলেন, এত্তো বড় ইলিশ মাছ, এটা কোন অঞ্চলের মাছ। বিক্রেতা হাসতে হাসতে জানালেন, ভাই মিছা কথা কইয়া মাছ বেচুম না, এগুলো বার্মার মাছ। মাছ ভালো হইবো কিন্তু কিনতে চাইলে একদামেই কিনতে হইবো।একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কারওয়ান বাজারে সস্তা দামে মাছ বিক্রির খবর শুনে সহকর্মীকে নিয়ে বাজারে এসে দেখেন যে দাম হাঁকা হচ্ছে সেই দামে পাড়ামহল্লায় বিক্রি হয়।সরেজমিন পরিদর্শনে জানা গেছে, মঙ্গলবারের তুলনায় বাজারে ইলিশ মাছের সরবরাহ ছিল অনেক কম। তবে বাজারে মাছ কিনতে বিপুল সংখ্যক ক্রেতার সমাগম ঘটে। ফলে মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পাল্টে গেছে কারওয়ান বাজারের পাইকারি মাছের আড়তে বেড়ে যায় ইলিশ মাছের দাম।ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, মঙ্গলবার কাকডাকা ভোর থেকে রাত অবধি আড়ত ও আড়তের বাইরে অপেক্ষাকৃত সস্তা দামে হালি হিসেবে ইলিশ মাছ বিক্রি হয়। ওইদিন সাধারণ শ্রমজীবী থেকে শুরু করে উচ্চবিত্ত পরিবার পর্যন্ত সবাই ইলিশ মাছ কিনে বাড়ি ফেরেন।বুধবার রাত ৯টায় সরেজমিনে দেখা যায়, আড়তের ভেতরে০বাইরে হাতেগোনা মাত্র কয়েকটা দোকানে ইলিশ মাছ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গুটিকয়েক মাছ বিক্রেতার দোকানের সামনে অসংখ্য মানুষ। বিক্রেতারা এক দাম হেঁকে বসে আছেন।অপেক্ষাকৃত কম ওজনের ইলিশ মাছ ৪০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একই মাছ মঙ্গলবার ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।সলিমউল্ল্যাহ নামের এক মাছ বিক্রেতা জানান, গতকালের তুলনায় আজ সরবরাহ কম। সরবরাহের তুলনায় ক্রেতা অনেক বেশি থাকায় তারা একটু বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হন বলে জানান।এমইউ/বিএ

Advertisement