প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মিয়ানমারের শরণার্থী ইস্যুর সমাধানে উপায় বের করতে দেশটির নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, আমরা এই ইস্যুর সমাধানে উপায় বের করার কাজে মিয়ানমারের নতুন নেতৃত্বের দিকে তাকিয়ে আছি। আমি ইতোমধ্যে এ বিষয়ে অং সান সু চিকে কিছু আভাসও দিয়েছি।প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার অপরাহ্নে জাতিসংঘের সদর দফতরে ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আয়োজিত ‘লিডারশিপ সামিট অন রিফিউজস’ বিষয়ে বক্তব্য রাখছিলেন।অন্যান্য আন্তর্জাতিক অংশীদারদের শরণার্থী ইস্যুতে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কাউকে পেছনে ফেলে না রাখার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে আমাদেরকে অবশ্যই জনগণকে সুশৃংখল, নিরাপত্তা, নিয়মানুবর্তিতা ও দায়িত্বের প্রতি উন্নয়ন সাধনে কাজ করতে হবে।শেখ হাসিনা বলেন, গত তিন দশকে মিয়ানমার থেকে আসা বিপুল সংখ্যক শরণার্থী ও উদ্বাস্তুকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে। সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও আমরা তাদের দায়িত্ব বহন করে চলেছি। আমাদের স্থানীয় জনগণ তাদের (শরণার্থী) আশ্রয় প্রদান ও সহযোগিতার জন্য জায়গার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। যদিও এতে বিভিন্ন সামাজিক, অর্থনৈতিক, পরিবেশগত ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও দক্ষতার বিষয়ে সরকার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিচ্ছে। তাদের উন্নতমানের আশ্রয়স্থলের ব্যবস্থা ও আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্যও মনোযোগ দেয়া হবে।তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা অন্যদের ব্যাপারেও সম্প্রতি একটি জরিপের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আমরা তাদের ‘তথ্য কার্ড’ শীর্ষক পরিচয়পত্র প্রদানের জন্যও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এই পরিচয়পত্র ন্যায়বিচার, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও অন্যান্য সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে তাদের জন্য সহায়ক হবে।এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ ও পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক উপস্থিত ছিলেন।এর আগে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সদর দফতরে কনফারেন্স ভবনে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন প্রদত্ত ভোজসভায় অংশগ্রহণ করেন। সূত্র : বাসসএমএমজেড/এমএস
Advertisement