আন্তর্জাতিক

দশজনের মধ্যে চারজনই ভার্জিন, উদ্বিগ্ন জাপান

জনসংখ্যা সমস্যায় যেন হিমশিম খাচ্ছে জাপান। একদিকে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে কমে যাচ্ছে জন্মহার। তার ওপর একক বা ‘সিঙ্গেল` নারী-পুরুষের সংখ্যা এখন ৬০ শতাংশেরও বেশি। এদের মধ্যে ৪০ শতাংশই নাকি ভার্জিন।সম্প্রতি স্থানীয় জনসংখ্যা ও সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিচালিত এক সমীক্ষার ফলাফল দেখে ভাঁজ পড়েছে জাপানের কর্তাব্যক্তিদের কপালে। সমীক্ষা বলছে, ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সী ৭০ শতাংশ অবিবাহিত পুরুষ এবং ৬০ শতাংশ অবিবাহিত নারীর জীবনে কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই। শুধু তাই নয়, এদের মধ্যে ৪২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৪ দশমিক ২ শতাংশ নারী স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে, তারা এখনও কুমার অথবা কুমারী। অর্থাৎ তাদের যৌনমিলনের কোনো অভিজ্ঞতাই নেই।গবেষণা ইনস্টিটিউটটি প্রতি পাঁচ বছর অন্তর এ ধরনের সমীক্ষা চালায় বলে দেশটির জাতীয় দৈনিক জাপান টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। ১৯৮৭ সালে একই বয়সের নারী-পুরুষের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখা যায়, ৪৮ দশমিক ৬ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৯ দশমিক ৫ শতাংশ নারীই অবিবাহিত। আর ২০১০ সালের ফলাফলে দেখা যায়, ৩৬ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ ও ৩৮ দশমিক ৭ শতাংশ নারী ‘ভার্জিন` বা তাদের কোনো শারীরিক সম্পর্ক নেই।প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে অবশ্য দাবি করেছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের প্রজননের হার ১ দশমিক ৮ শতাংশে নিয়ে যাবে জাপান। উদ্যোগ হিসেবে বিবাহিতদের জন্য চাইল্ড কেয়ার সার্ভিস ও ট্যাক্স ইনসেন্টিভ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সমীক্ষা বলছে, সরকারের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও জাপানিরা প্রণয় বা পরিণয়ে আগ্রহী নন।এবারের গবেষণায় অংশ নেওয়া নারী-পুরুষরা জানান, তারা কিছুক্ষেত্রে বিয়ে করতে চান। কিন্তু কী সেসব ক্ষেত্র, তা স্পষ্ট করে বলেননি তারা। গবেষণা দলের প্রধান ফুতোসি ইশির কথায়, দেশের বহু মানুষ জীবনের একটা পর্যায়ে গিয়ে বিয়ে করতে চান। কিন্তু নিজ নিজ স্বপ্ন ও বাস্তবতার মধ্যে ফারাক দেখে আবারো মুখ ঘুরিয়ে নেন। বলা বাহুল্য, এই ফারাকটা অর্থনৈতিক স্বচ্ছন্দ ও জীবনযাপনকে ঘিরে, যার জন্য শেষ পর্যন্ত একাই থেকে যান জাপানিরা।সূত্র : ডিডব্লিউ।এসআইএস/এবিএস

Advertisement