শাড়িতে বাঙালি নারীর রূপ ফুটে উঠে। এছাড়া বিয়ে, পার্টি বা গায়ে হলুদ মেয়েদের পছন্দের তালিকায় থাকে শাড়ি। তবে আপনার শখের শাড়ি পরার বারোটা বাজাতে পারে একটি বেমানান ব্লাউজ। কেমন ব্লাউজে মানাবে আপনাকে তা যদি আপনার না জানা থাকে তবে আপনি পড়ে যাবেন বড় ঝামেলায়। তাই জেনে নিন কিছু ব্লাউজের ডিজাইন সম্পর্কে।কলার স্টাইল:ব্লাউজে কলার দিলে একটা কর্পোরেট লুক আসে ।এয়ারলাইন্স ও ফাইভস্টার হোটেল গুলোতে কর্মরত মেয়েদের এই টাইপ ব্লাউজ পড়তে দেখা যায়। ব্যাকলেস চোলি:এই টাইপ ব্লাউজে পিঠের অনেকটা অংশ থাকে উন্মূক্ত । কমবয়সী মেয়েরা এই ব্লাউজ পড়তে পারেন অনায়াসে। তবে এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে যে পিঠটি যেন আকর্ষণীয় হয়। পিঠে দাগ থাকলে বা পিঠ মসৃণ না হলে, ফুসকরি টাইপ কিছু থাকলে ব্যাকলেস ব্লাউজ না পরাই ভালো। এই ধরনের ব্লাউজ পরার আগে পিঠের যত্ন নেয়া প্রয়োজন। ব্যাক পলিশ করে নেয়া উচিত্ ।হল্টারনেক:মূলত ফিতে বক্ষ বন্ধনী হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কাঁধের একটি বিরাট অংশ, গলা ও পিঠ উন্মুক্ত থাকে ।সিঙ্গেল সোল্ডার :একটি কাধে ব্লাউজের সোল্ডার থাকে অন্য কাধটি থাকে উন্মুক্ত। যাদের কাধের অংশটি চওড়া তারা এটি ব্যবহার করতে পারেন ।শরীরের গড়ন বুঝে :যারা অনেক চিকন তারা হল্টার নেক, স্লিভলেস ব্লাউজ সিফনের শাড়ী দিয়ে পড়তে পারেন। এছাড়া চিকন স্বাস্থ্য হলে হাইনেক বা কলার ব্লাউজ পড়লে ভালো লাগবে। বেশি স্লিম শরীরে বেনারসি পড়লে একটু ফোলানো স্লিভসহ ব্লাউজ পরলে ভালো লাগবে ।যাদের শরীর একদম ফিট মানে যাদের ফিগার ভালো তারা যেকোনো ধরনের ব্লাউজ পডরলেই ভালো লাগবে। তবে শর্ট স্লিভের ডিপ কাট নেক ও ব্যাকের ব্লাউজ পড়লে বেশি ভালো লাগবে।যারা একটু মোটা তারা পারতপক্ষে স্লিভলেস ব্লাউজ পড়া থেকে বিরত থাকুন। তার থ্রি কোয়াটার বা ফুল স্লিভ বা ফুল হাতা ও ভি কাটের গলার ব্লাউজ পড়তে পারেন।এইচএন/পিআর
Advertisement