বিনোদন

তারকাদের ভাবনায় সালমান শাহ

বাংলা চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। যিনি তার স্টাইল আর অভিনয় দিয়ে মুগ্ধ করেছিলেন লাখো দর্শকদের। বলছি বাংলা ছবির অমর নায়ক সালমান শাহ’র কথা। মৃত্যুর ২০ বছর পরও কমেনি তার জনপ্রিয়তা। দর্শদের মনে আজো বেঁচে আছেন স্বপ্নের নায়ক হয়ে। শুধু সাধারণ দর্শকই নন; বিভিন্ন প্রজন্মের তারকাদের কাছেও সালমান শাহ প্রিয় নাম। তেমনি অমর এই নায়কের ৪৫তম জন্মবার্ষিকীতে এই প্রজন্মের জনপ্রিয় কয়েকজন তারকা বললেন তাদের সালমান শাহকে নিয়ে-  রেসি স্বপ্নের নায়ক বলতে যেটা বোঝায় সেটাই ছিলেন সালমান শাহ। আমার দুভার্গ্য তার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাইনি। তার আগেই তিনি চলে গেছেন। দুর্দান্ত লাগতো সালমান শাহের সবকিছু। তার ছবির গানগুলো শুনলে আজও তাকে মনে হয় নতুন। পরীমনি সালমান শাহ একজন স্টাইলিশ এবং হ্যান্ডসাম হিরো ছিলেন। তার নিজস্ব একটা স্টাইল ছিল যেটা একজন নায়কের থাকা উচিৎ। আমার তো তার সবকিছুই ভালো লাগতো। এছাড়া সালমান শাহের অভিনয়ের মধ্যেও একটা ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পেত সবসময়। তার ফ্যাশন সচেতন এবং ব্যক্তিত্ব আমাকে সবসময়ই উৎসাহ যোগায়। তৌসিফ মাহবুবসালমান শাহ যখন সুপারস্টার ছিলেন তখন আমি একেবারেই ছোট। যখন বাংলা ছবি বুঝতে শুরু করি তার আনন্দ-অশ্রু ছবিটা আমার খুব ভালো লেগেছিলো। আর ওই ছবিতে সালমান শাহের পাগল হয়ে যাওয়া অভিনয় দেখে আমি তার ফ্যান হয়ে গিয়েছিলাম। ওই ছবির ‘তুমি আমার এমনই একজন’ গানটাও দারুণ লেগেছিল। আর একটা কথা না বললেই নয়, সেটা তার ফ্যাশন। খুব ভালো লাগতো তার স্টাইলগুলো। এছাড়া এখন তো ফেসবুক, ইউটিউব ছাড়া আরও বিভিন্ন প্রযুক্তির সাহায্যে আমরা অনেক এগিয়ে আছি। কিন্তু সালমান শাহের সময় এসব কিছু ছিল না। তারপরও তিনি তার কর্মগুণে সকলের মন ছুঁতে পেরেছিলেন। তিনি সকল শ্রেণি-পেশার দর্শকের মন জয় করতে পেরেছিলেন। আর এই জন্যই সালমান কালজয়ী।পড়শী আমার কাছে সালমান শাহ অনেক স্পেশাল একজন মানুষ। সেজন্য তার সবকিছু আমার কাছে ভালো লাগে। আমি তার প্রজন্মের মানুষ নই। কিন্তু তার ছবিগুলো দেখেই বুকের ভেতর কেমন যেন ঘোর লেগে যায়। এই অভিনয় আর কাউকে করতে দেখিনি। তাকে খুব ভালো লাগে। খুব ভাগ্যবান হতাম যদি তার ছবিতে গান করতে পারতাম। ২০১৪ সালে আমি সালমান শাহের ছবির সব জনপ্রিয় গান নিয়ে লাইভ অনুষ্ঠান করেছি। আমার দুর্ভাগ্য যে আমি সালমান শাহকে সামনে দেখার সুযোগ পাইনি। ইমতু রাতিশ প্রথমেই ৪৫তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই মোস্ট স্টাইলিস হিরোকে। তার মৃত্যুর ২০ বছর পরেও তার কর্মের মাধ্যমে সকলে মনের মধ্যে গেঁথে আছেন তিনি। আমি বিশ্বাস করি সারাজীবন তিনি আমাদের সকলের হৃদয়ে থাকবেন। সালমান শাহ ছিলেন প্রথমত দর্শনধারী, তারপর গুণ বিচারী। সেই নব্বই দশকে সালমান শাহের ফ্যাশন আমরা এখন বহন করছি। তাহলে বোঝা যায় তিনি কতটা আপডেট ছিলেন। যেখানে থাকুন ভালো থাকুন সালমান শাহ। অধরাসালমান শাহের ছবি এবং তার রোমান্টিকতা আমার অভিনয়কে অনুপ্রেরণা দেয়। তার ছবিগুলো দেখে মনে হয়ে তিনি ছিলেন যেমন রোমান্টিক হিরো তেমনি তুখোড় অভিনেতা। আবার ক্ষেত্র বিশেষে অ্যাকশন হিরোও। মূলত তিনি ছিলেন নায়ক হওয়ার জন্য ফুল প্যাকেজ। আমি বিশ্বাস করি স্বপ্নের নায়করা সালমান শাহের মত হয়।এনই/এলএ/আরআইপি

Advertisement