খেলাধুলা

মিসবাহর চোখে ওয়ানডেতে পাকিস্তানের ব্যর্থতার মূল কারণ

টেস্টে বিশ্বের সবচেয়ে সেরা দল। অথচ ওয়ানডেতে তার পুরোপুরি উল্টো চিত্র। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে জিম্বাবুয়ে ছাড়া পেচনের দিক থেকে এক নম্বরে রয়েছে পাকিস্তান। একই দেশের দুই ফরম্যাটে এমন দুই রকম চিত্র কেন? প্রশ্নটা প্রায় সবার।যার নেতৃত্বে টেস্ট ক্রিকেটে পাকিস্তান এক নম্বর স্থানটি অধিকার করে নিয়েছে সেই মিসবাহ-উল হকই খুঁজলেন ওয়ানডেতে তাদের ব্যর্থতার কারণ। তার মতে, ঘরোয়া ক্রিকেটের দুর্বলতাই পাকিস্তানের ব্যর্থতার এই কারণ। গত কয়েক বছরে পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটের কাঠামোয় বেশ কযেকবার পরিকর্তন আনা হয়েছিল। মিসবাহ মনে করেন, এই পরিবর্তনটাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর হলো পাকিস্তানের জন্য।ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে মিসবাহ বলেন, ‘যখন একজন পাকিস্তানি ক্রিকেটার ঘরোয়া ক্রিকেটে বছরে অন্তত ১০ থেকে ২০টা প্রথম শ্রেনীর ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে, তখন তিনি সম পরিমাণে ওয়ানডে ফরম্যাটের ম্যাচ পাচ্ছেন না।’পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে এ বিষয়ে অনেক আগে থেকেই সতর্ক করে আসছেন বলে জানালেন মিসবাহ। তিনি বলেন, ‘আমি অনেক আগে থেকেই বোর্ডকে বলে আসছিলাম, আমাদেরকে ঘরোয়া ক্রিকেটে ওয়ানডে ফরম্যাটের দিকে আরও বেশি জোর দেয়া প্রয়োজন। ক্রিকেটারদের প্রয়োজন আরও বেশি ওয়ানডে ম্যাচ খেলা। কারণ, পাকিস্তান ঘরোয়া ক্রিকেটে দেখা যাচ্ছে, একজন ক্রিকেটার সর্বোচ্চ ৫টি ওয়ানডে ফরম্যাটের ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে।’এ কারণেই যে ওয়ানডেতে পাকিস্তান দিন দিন তলানীতে নেমে যাচ্ছে, সেটা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন মিসবাহ। তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি মাত্র ওয়ানডে ফরম্যাটের টুর্নামেন্ট রয়েছে। এমনকি ক্লাব পর্যায়েও ওয়ানডে ফরম্যাটের ক্রিকেট আয়োজন করা হয় না বললে চলে।’পাকিস্তান ঘরোয়া ক্রিকেটের চিত্র তুলে ধরে টেস্ট অধিনায়ক বলেন, ‘তৃণমূল পর্যায়ে অধিকাংশ ক্রিকেট ম্যাচই হয় ২০ কিংবা ২৫ ওভারের। আমাদের ওয়ানডে ক্রিকেটের দুরবস্থার এটাও একটা বড় কারণ। খুব লজ্জা লাগে যে আমরা এখন রয়েছে র্যাংকিংয়ে ৯ নম্বরে।’কী করতে হবে সে পরামর্শও আপাতত দিয়ে রেখেছেন মিসবাহ। তিনি বলেন, ‘আমাদের আগেও প্রয়োজন ছিল, এবং এখনও খুব প্রয়োজন যে, আমাদের যা সামর্থ্য আছে, সম্পদ আছে তা আরও বাড়ানো এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে ওয়ানডে ফরম্যাটের ম্যাচ বাড়ানো। টেস্টে এক নম্বরে আসতে পেরেছি, কারণ আমাদের ক্রিকেটাররা এই ফরম্যাটে অনেক ম্যাচ খেলে এবং নিজেদের অনেক বেশি উজাড় করে দিতে পারে।’মিসবাহ মনে করেন, পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা খুবই প্রতিভাবান; কিন্তু পরিচর্যার অভাবে এই প্রতিভার বিকাশ হচ্ছে না। ঘরোয়া ক্রিকেটের কাঠামো শক্তিশালি এবং সঠিকভাবে বিন্যাস করতে পারলেই কেবল এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবে পাকিস্তান ওয়ানডে ক্রিকেট।আইএইচএস/আরআইপি

Advertisement