দেশজুড়ে

ইলিশের প্রভাবে বিক্রি কমেছে অন্য মাছের

বাজারে ইলিশ আছে দেখেও যারা না দেখার ভান করে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন তারাও এখন কয়েক কেজি করে ইলিশ কিনছেন। নিজের ঘরে ফ্রিজ না থাকলেও অনুরোধ করে রাখছেন অন্যের বাসায়। অপরদিকে বিক্রেতারা মাত্র এক মাস আগে সারা দিনে ২০ কেজি মাছ বিক্রি করতে না পারলেও এখন বিক্রি করছেন এক থেকে দেড়শ কেজি। আর এ সবই সম্ভব হয়েছে বাজারে মাছের প্রচুর আমদানি ও দাম কমে যাওয়ায়। পাশাপাশি মাইকিং করে ইলিশের বিক্রিও অব্যাহত রয়েছে বিভিন্ন বাজারে। তবে ইলিশের দাম কমে যাওয়ায় অন্যান্য মাছ বিক্রেতারা পড়েছেন বিপাকে। তাদের মাছের দিকে ক্রেতার এখন নজর কম বলে জানিয়েছেন তারা। আগে বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে অন্যান্য মাছ বিক্রি হয়ে গেলেও এখন তাদের বসে থাকতে হচ্ছে দুপুরের পর পর্যন্ত। মাছের দাম কমিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না তাদের। যারাই মাছের বাজারে আসছেন তারাই কমবেশি ইলিশ কিনছেন।খুলনার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ইলিশের সরবরাহ এত বেশি যে, যারা আগে ইলিশ বিক্রির চিন্তাও করেননি তারাও শুধু ইলিশ নিয়ে বসেছেন।খুলনার বাজারে বর্তমানে দেড়শ গ্রাম থেকে শুরু করে পৌনে দুই কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। আগে ৭/৮ শ গ্রাম ওজনের মাছ ১২শ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা নেমে এসেছে ৬শ টাকায়। দুটি মাছে এক কেজির বর্তমান দাম ৫০০ টাকা। ৫০০ গ্রামের নিচের ওজনের মাছ চারশ টাকা।রূপসা সান্ধ্য বাজারের মাছ বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, বাজারে আরো কিছুদিন মাছের আমদানি বেশি থাকবে। কিছু কোম্পানি বড় সাইজের মাছ কিনলেও এক কেজি, সোয়া কেজি সাইজের মাছ আরো আসবে বাজারে। মাছের দাম আরো কমতে পারে বলেও জানান তিনি।একই বাজারের ক্রেতা হালিমা বেগম জানান, আগে বাজারে এসে ইলিশ দেখেছি। কিন্তু দাম বেশি থাকায় শুধু দেখতে হয়েছে, কেনা হয়ে ওঠেনি। এখন মাছের দাম কমে যাওয়ায় কয়েক কেজি মাছ কিনে অন্যের ফ্রিজে রেখে দিয়েছি।নতুন বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, ইলিশের দাম কমে যাওয়ায় তাদের চিংড়ি, কৈ, মাগুর, টেংরা, পার্শে, রুই, কাতলাসহ সব মাছের দাম কমাতে হয়েছে। আলমগীর হান্নান/এফএ/এবিএস

Advertisement