বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট চলমান অবরোধের সঙ্গে টানা ৭২ ঘণ্টা হরতাল আহবান করায় উৎকণ্ঠায় পড়তে হয়েছে অভিভাবক, শিক্ষক ও পরীক্ষার্থীদের। নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা শুরু হবে কিনা এ সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।সোমবার থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। প্রথম দিনের পরীক্ষা হবে কিনা এ বিষয়ে সরকার এখনও সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। শনিবার রাত পর্যন্ত তারা এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। ফলে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা কাটছে না। তবে হরতাল-অবরোধের মধ্যে পরীক্ষায় বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আশ্বস্ত করেছেন পুলিশের মহা-পরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক। অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীরা শুধু হরতালই নয়, অবরোধের মধ্যেও পরীক্ষায় বসতে চান না। তবে তারা পরীক্ষা পেছানোর পক্ষেও নন। ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী সবাই পরীক্ষা শুরু এবং শেষ করতে চান। তাই পরীক্ষার পরিবেশ তৈরি করে দেয়ার জন্য তারা রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত থেকে আমি সরে আসিনি। আমি ইতোপূর্বে ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের কাছে আবেদন করেছিলাম পরীক্ষাকালে অবরোধ-হরতাল না রাখার জন্য। আমার আবেদন, অন্তত পরীক্ষার দিনগুলোতে হরতাল-অবরোধ রাখবেন না। অন্যদিন আপনারা যা ইচ্ছা তাই করুন, আমার আপত্তি নেই।এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কাছে পাঠানো এক খোলা চিঠিতে অভিভাবক ফোরামের চেয়ারম্যান জিয়াউল কবীর দুলু বলেন, পরীক্ষা স্থগিত বা পেছানো হোক আমরা চাই না। আবার এই পরিস্থিতির মধ্যে আমাদের সন্তানরা ঝুঁকি নিয়ে পরীক্ষা দিতে যাবে, তাও চাই না। এ অবস্থায় দুই পক্ষকে সমঝোতা গিয়ে পরীক্ষার লেখাপড়ার পরিবেশ সৃষ্টি করে দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন এই অভিভাবক নেতা।এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সর্বমোট ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ২৬৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। প্রথমদিন সোমবার এসএসসিতে বাংলা প্রথমপত্র এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি বাংলা বিষয়ের পরীক্ষা রয়েছে। বিগত এক মাস ধরে দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চলছে। এর মধ্যে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পড়ে কিনা তা নিয়ে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন সময় পার করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরীক্ষার প্রথম দিনই ৭২ ঘণ্টা হরতালের মধ্যে পড়েছে। বিএ/এমএস
Advertisement