লাইফস্টাইল

যেভাবে সুরক্ষিত রাখবেন আপনার শিশুকে

প্রতিদিন হাজারো বাচ্চা শিকার হচ্ছে নানা অপব্যবহারের। তাদের দিয়ে বাসায় কাজ করা থেকে শুরু করে নানা বাজে কাজে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া শিশু কখনো কখনো তার পরিবার, শিক্ষক, আন্তীয়স্বজনের কাছে থেকেও এই অপব্যবহারের শিকার হয়। অনেক সময় আমাদের চোখের সামনেই অনেক কিছু ঘটতে থাকে যা আমরা হয়তো একটু খেয়াল করলেই দেখতে পাই। একটি চঞ্চল শিশু যখন হঠাৎ শান্ত হয়ে যায় বা তার আচরণে পরিবর্তন আসে তা স্বাভাবিক সংকেত না। তাই সচেতন হয়ে শিশুকে রক্ষা করুন।শিশুর সাথে কথা বলুনএটি নিশ্চিত করুন যে আপনার শিশু সবসময় সুরক্ষিত আছে। আর তাকে কোনোভাবেই অরক্ষিত ভাবে রাখা আপনার দ্বায়িত্ব না। তাই সে বড় হওয়ার সাথে সাথে তার সাথে টুকটাক বিষয় নিয়ে কথা বলুন। তার সাথে বন্ধুর সম্পর্ক গড়ে তুলুন। তাকে ভালো এবং খারাপ সম্পর্কে ধারণা দিন। আর যদি শিশুটি কাউকে পছন্দ না করে ঐ মানুষটিকে শিশুটি ভয় পায় তবে দ্রুত তার সাথে কথা বলুন।সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করানোকিছু কিছু সামাজিক কার্যক্রম হয়ে থাকে যা শিশুদের নিয়ে করা হয়। তাতে শিশুকে নিয়ে যান। তাতে সে নানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবে। আর যদি সে কিছু বুঝতে না পারে তবে আপনি তাকে বুঝিয়ে বলুন। তাকে এমন ভাবে গড়ে তুলুন যাতে বাইরের কারো থেকে বাঝে কিছু শিখতে না পারে। তার প্রশ্ন করার জায়গাটি আপনি আপনাকে তৈরি করুন। নয়তো শিশুটি হয়তো খারাপ হয়ে যেতে পারে।খারাপ দিক সম্পর্কে তাকে জানানশিশুকে খারাপভাবে ব্যবহার করার নানা উপায় আছে। তা হতে পারে শারীরিকভাবে কিংবা মানসিকভাবে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থান সম্পর্কে জ্ঞান দিন। কোথায় স্পর্শ করা খারাপ আর কোথায় ভালো তাকে জানান। তার কী ধরনের বিপদ হয়ে পারে সেই সম্পর্কে তাকে বুঝিয়ে বলুন। তাকে কেউ লোভ দেখালে বা কোথাও ঘুরতে নিয়ে যেতে চাইলে তা পরিবারের মা কিংবা বাবাকে এসে বলতে বলুন।আচার-আচরণএকটি শিশুর আচার-আচরণ অনেক না বলা কথা বলে দেয়। কোন বাচ্চা যদি অকারণেই ভয় পায় কিংবা কারো কাছে যেতে ভয় পায়, একা একা থাকে কিংবা কথা কম বলে বুঝে নিন এটি কোন বড় বিপদের লক্ষণ। যত দ্রুত সম্ভব তার সাথে কথা বলুন। তবে তা ধীরে ধীরে যেন কোমলমতি শিশুর মনে খারাপ প্রভাব না পড়ে।এইচএন/এমএস

Advertisement