তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বিএনপি ধীরে ধীরে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পথ থেকে সরে নাশকতা, অন্তর্ঘাত ও জঙ্গি কার্যক্রমের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। নাশকতা বন্ধ না করলে বিএনপি অচিরেই সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হবে।শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত সংগঠনের সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছিলেন।তিনি বলেন, দেশের প্রচলিত আইনেই সন্ত্রাস, নাশকতা, অন্তর্ঘাত ও পেট্রলবোমা মেরে মানুষ হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকার জনগণের জান-মাল রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে। তাই রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে চলমান সহিংস ঘটনাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে তা মোকাবেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া সরকার বা প্রশাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন না, তিনি যুদ্ধ করছেন জনগণের বিরুদ্ধে।হাসানুল হক ইনু বলেন, ৭১-এ রাজনৈতিক ভিলেন ছিল পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার আলবদররা, ৭৫-এর ভিলেন ছিল সামরিক শাসকরা, আর এখন পেট্রোল দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে ভিলেন হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।তিনি বলেন, ককটেল হাতে আন্দোলনরত খালেদার সাথে কোনো রাজনৈতিক আপোষ নয়। সংলাপের আগে খালেদাকে গণতান্ত্রিক ক্লাবের সদস্য হতে হবে। খালেদা জিয়া ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে সংলাপ এড়িয়ে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অস্বাভাবিক সরকার গঠনের চেষ্টা করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আন্দোলনের নামে মানুষ পোড়ানোর রাজনীতিতে তিনি যুক্ত আছেন। গণতন্ত্র, নির্বাচন, সংলাপ- এগুলো গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে থেকে যে কোনো সময়, যে কোনো সংলাপ হতে পারে। তার আগে যুদ্ধাপরাধীদের ত্যাগ করে নাশকতা, অন্তর্ঘাত ও সহিংতা বন্ধ করতে হবে। হাত থেকে ককটেল মাটিতে রাখতে হবে।তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে এখন `৭১-এর মতো পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের কৌশল অবলম্বনে খালেদা জিয়া নারী-শিশুদেরকে হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছেন। জনগণের বিরুদ্ধে নির্যাতন বন্ধের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি আমরা। সারাদেশে আতঙ্ক বিরাজ করলেও ১০ থেকে ১২টি জেলা ছাড়া সবখানেই এখন সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে।খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, স্পষ্ট করে বলতে হবে তিনি (খালেদা) আসলে কী চান। তিনি সংলাপ চান, নাকি নির্বাচন, নাকি এই মুহূর্তে সরকারের পতন? আসলে কী চান তা পরিষ্কার করতে হবে। ৭ দফা দাবি নাকি অন্যকিছু। তার এতো তাড়া কিসের? মনে হচ্ছে, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তাকে কেউ তাড়া করছে। ক্ষমতায় তার যেতেই হবে। তার কোনো গোপন এজেন্ডা আছে। কারণ তিনি বিচারাধীন যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে চান, মামলা থেকে খালেদা নিজে বাঁচতে এবং তার গুণধর পুত্র তারেককেও বাঁচাতে চান। তিনি যদি সংলাপ চান তাহলে এর পরিবেশ তাকেই তৈরি করতে হবে।সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের কাছে সরকার মাথানত করবে না উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে জনগণকে দৃঢ় অবস্থানে থাকার আহ্বান জানান। ডিআরইউ’র সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন বাদশা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন।আরএস
Advertisement