শাড়ির সঙ্গে টিপ সবচেয়ে মানানসই। পাশ্চাত্য ধাঁচের পোশাকের সঙ্গে টিপ খাপ খায় না বটে, তবে জিনস ফতুয়ার সঙ্গেও তো অনেকে দিব্যি কপালে আঁকছেন নানা আকৃতির টিপ। যিনি বহন করতে পারবেন তিনি চাইলে পশ্চিমা ধাঁচের পোশাকের সঙ্গেও টিপ পরতে পারেন। দেশি নকশার লম্বা স্কার্টের সঙ্গে কপালে খুব সাধারণ একটি ছোট গোল টিপ বা লম্বাটে টিপও মানিয়ে যেতে পারে। কেমন দেখাবে তা নির্ভর করবে সাজের অন্য অনুষঙ্গের উপরেও। যেমন খুব আধুনিক বা জাঙ্ক গয়নার সঙ্গে এটি ঠিক যায় না। কিন্তু তারপরেও কথা থেকে যায়, কাউকে মানিয়ে গেলে পরা যায়।টিপ যদি হয় পাথরেরকপালে আছে কি নেই বোঝার উপায় নেই, শুধু মাত্র যেন একটু ঝিলিক দিচ্ছে। ঠিক এমনটাই হলো পাথরের টিপ। ছোট্ট একটুখানি হয় পাথরের টিপ, এর রঙ্গা ও হয় আবার হরের রঙের ও পাওয়া যায়।স্বাভাবিক টিপ স্বাভাবিক টিপ রেডিমেট পাতাতেই পাওয়া যায়। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রেডিমেট টিপ কিনতে পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে লাল টিপের চলটাই বেশি। তবে বিভিন্ন রঙের টিপ ও পাওয়া যায়।আলপনাপোশাকের সঙ্গে ঠিক রেখে কপালে টিপ আঁকা হয়। যাকে বলে আলপনা। বিভিন্ন রঙে ব্যবহারে বৈচিত্রতা আসে।মিশ্রণ ব্যতিক্রমী সাজের জন্য ফ্যাশন প্রেমী নারীরা ২-৩ ধরনের টিপ মিলিয়ে পরেন। যেমন পাথরের কিংবা সাধারণ গোল টিপের সঙ্গে এঁকে নেওয়া হয় আলপনা।কুমকুমকুমকুমের প্রচলন সেই আদিকাল থেকেই। এই আধুনিক যুগে এসেও অনেকে কপালে আঁকেন কুমকুমের টিপ।গোল মুখেগোল মুখে সাধারণত সব আকারের টিপই মানিয়ে যায়। তবে লম্বা আকৃতির টিপে বেশি ভালো লাগে।লম্বাটে মুখেমুখ লম্বাটে হলে পরুন গোল টিপ। বেশ মানিয়ে যাবে আপনাকে।কপাল বড় হলে কপাল বড় হলে ছোট নয়, মাঝারির চেয়ে একটু বড় টিপ পরুন।কপাল ছোট হলে ছোট কপালের জন্য খুব বড় টিপ একেবারে মানানসই নয়। টিপের আকার ছোট হলে তা পরতে হবে দুই ভ্রুর মাঝ বরাবর।টিপ বড় হলে বড় ও মাঝারি টিপ হলে তা ভ্রু থেকে সামান্য উপরে পরুন। যাদের জোড়া ভ্রু, তারাও টিপ খানিকটা উপরে পরবেন। আর সব সময় বেছে নেবেন উজ্জ্বল রঙের টিপ।এছাড়া যারা একটু শৌখিন প্রকৃতির তারা চাইলে সোনার টিপও গড়িয়ে নিতে পারেন। সোনার দোকানে, পছন্দের নকশা অনুযায়ী সোনা আর পাথর দিয়ে নানা আকৃতির টিপ বানিয়ে নেয়া যায়।আরএস/এমএস
Advertisement