ইসরায়েলের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত গাজায় অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। টেলিভিশনে প্রচারিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।বিবিসি জানায়, হামাসের তৈরি করা টানেলগুলো ধ্বংস করার পরেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় অভিযান চালাবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন নেতানিয়াহু। এদিকে নিখোঁজ ইসরায়েলি সেনা হাদার গোলডিন নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। তারা বলছে, তারা মোটামুটি নিশ্চিত যে লেফটেন্যান্ট গোলডিন মারা গেছে। তবে হামাস বলছে, হাদার গোলড্নি নামে ওই নিখোঁজ ইসরায়েলি সেনা সদস্য কোথায় আছে বা তার কি হয়েছে- এ সম্পর্কে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। সংবাদ সম্মেলনে হামাসকে হুঁশিয়ারি জানিয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েলে আক্রমণ করার অপরাধে হামাসকে `দুঃসহ মাশুল` দিতে হবে। গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার আশায় মিশরের কায়রোতে যে আলোচনা চলছে নেতানিয়াহুর এই বক্তব্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার সেই আশা একেবারেই শূন্যে মিলিয়ে গেছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তবে এর জবাবে হামাস বলছে, তাদের লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারাও তাদের লড়াই চালিয়ে যাবে। গাজার চারদিকে ইসরায়েলের যে ভু-অবরোধ আছে, তা তুলে নেওয়ার দাবি হামাসের। এদিকে গাজায় জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সেখানকার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে। জাতিসংঘের কর্মকর্তা ক্রিস গুয়েনেস বলেন, গাজার চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়েছে । হাসপাতাল ক্লিনিক ও অ্যাম্বুলেন্স ধ্বংস হয়ে গেছে এবং চল্লিশ শতাংশের বেশি চিকিৎসাকর্মী অক্ষম হয়ে পড়েছেন। এপর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি বিমান ও স্থল অভিযানে প্রায় ১ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক। অন্যদিকে ইসরায়েলের ৬৪ জন সৈন্য ও দুজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। শুক্রবার ৭২ ঘণ্টার যে সাময়িক যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছিল তা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভেঙে পড়ে। দু`পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে।
Advertisement