৯৬ ঘণ্টায় ৮ কোটি ২৭ লাখ টাকার টোল আদায়ের মধ্য দিয়ে দেশে সর্বোচ্চ টোল আদায়ের রেকর্ড গড়লো এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বঙ্গবন্ধু সেতু।৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা থেকে ১২ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত সেতুর পূর্ব ও পশ্চিমপাড়ের টোল প্লাজা দিয়ে যাত্রীবাহী বাস, গরু বোঝাই ট্রাকসহ ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের ১ লাখ ৫ হাজার যানবাহন পারাপার হওয়ায় এ রেকর্ডের সৃষ্টি হয়।বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বঙ্গবন্ধু সেতুর দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।তিনি এ সময় আরো দাবি করেন, ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হওয়ার পর থেকে দীর্ঘ ১৮ বছরে বঙ্গবন্ধু সেতুতে চলাচলরত যানবাহন থেকে ২৪ ঘণ্টায় আদায় করা টোলের মধ্যে ৯ থেকে ১০ সেপ্টেম্বরের ২ কোটি ১১ লাখ টাকায় সর্বোচ্চ। সেতু দিয়ে মোট ২৭ হাজার ৫১০টি যানবাহন চলাচল করার ফলে এ টোল আদায় হয়। এছাড়া ৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা থেকে ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৬ হাজার ৯৫৫টি যানবাহন চলাচল করায় টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ১০ লাখ। ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা থেকে ১১ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৫ হাজার ৩০০টি যানবাহন চলাচল করায় ২ কোটি ৫ লাখ ও ১১ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা থেকে ১২ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৫ হাজার ২৩৫টি যানবাহন চলাচলের ফলে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ১ লাখ টাকা। এ সময় তিনি আরো জানান, প্রতিদিনই যেভাবে গাড়ি পারাপারের সংখ্যা বাড়ছে তাই টোল আদায়ের এ রেকর্ড ৯ কোটিতে পৌঁছাতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। যা হবে দেশের ইতিহাসে কোনো সেতুর ৯৬ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ টোল আদায়ের রেকর্ড।এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার মো. মাহবুব আলম জানান, সেতুটি নির্মিত হওয়ার পর এই প্রথম ৯৬ ঘণ্টায় গাড়ি চলাচল করেছে ১ লাখ ৫ হাজার। আর এ থেকে টোল আদায় হয়েছে ৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার ফলে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে বলেই মনে করেন তিনি। উল্লেখ্য, প্রথমে যমুনা বহুমুখী সেতু নামে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হলেও পরবর্তীতে এটির নাম পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু সেতু নামকরণ করা হয়। বঙ্গবন্ধু সেতু বাংলাদেশের যমুনা নদীর উপরে অবস্থিত একটি সড়ক ও রেল সেতু। ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট এই সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯৯৮ সালে। সেতুটি যমুনা নদীর পূর্ব তীরের ভূঞাপুর এবং পশ্চিম তীরের সিরাজগঞ্জসহ উত্তরবঙ্গের ২৫টি জেলাকে সংযুক্ত করে।এসএস/পিআর
Advertisement