আজিমপুর কবরস্থানে দোতলা গেট হাউজ নির্মিত হচ্ছে। গেট হাউজটি ছাড়াও কবরস্থানের ভেতর নতুন দোতলা একটি মসজিদও নির্মিত হবে। ঈদের পরেই শুরু হবে নতুন গেট হাউজ ও মসজিদ নির্মাণ কাজ। আজিমপুর কবরস্থানের সিনিয়র মোহরার মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর (ডিএসসিসি) মেয়র সাইদ খোকন গত ৬ সেপ্টেম্বর গেট হাউজ ও মসজিদ নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেছেন। নির্মাণ শ্রমিক না পাওয়ায় ঈদের আগে নির্মাণ কাজ শুরু হবে না বলে তিনি জানান। বর্তমানে অন্যতম সর্ববৃহৎ সরকারি এই কবরস্থানে প্রতিদিন গড়ে ২৫ থেকে ৩০টি লাশ দাফন হচ্ছে। বর্তমানে লাশ দাফন সংক্রান্ত দাফতরিক কার্যক্রম প্রধান ফটক সংলগ্ন ছোট ছোট দুটি কক্ষে পরিচালিত হচ্ছে। ক্ষুদ্র পরিসরের দফতরে দাফন সংক্রান্ত তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ ও সংরক্ষণে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানা যায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কবরস্থানের একাধিক কর্মচারী জানান, স্থানাভাবে লাশ দাফন করতে আসা লোকজনের আত্মীয়-স্বজনরা বসতে পারেন না। তাছাড়া বহু বছরের পুরোনো হওয়ায় ভবনটির আস্তর খসে পড়ছে। বৃষ্টি হলে ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে কাগজপত্র ভিজে যায়। এ সব কারনে ডিসিসির কাছে বড় পরিসরে গেট হাউজ নির্মাণের আবেদন করা হয়।মোহরার মিজানুর রহমান জানান, প্রতিদিন কবরস্থানে বিপুল সংখ্যক মানুষ বাবা, মা, ভাই, বোন, দাদা, দাদিসহ বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের কবর জিয়ারত করতে আসেন। আজানের সময় হলে তারা বর্তমানে কবরস্থানে যে মসজিদটি রয়েছে সেটিতেই নামাজ আদায় করেন। শুক্রবারসহ অন্য যেদিন বেশী মানুষ আসে সেদিন মসজিদে জায়গা হয় না। দোতলা নতুন মসজিদটি নির্মিত হলে এ সমস্যা দূর হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।এমইউ/এআরএস
Advertisement