ফিচার

পুলিশ গ্রেফতার করলে করণীয়

আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বা অন্যান্য প্রয়োজনে পুলিশ বিভিন্ন অভিযানে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের আটক করে। তবে কোনো অভিযোগ ছাড়া ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় কাউকে আটক করে রাখতে পারে না। গ্রেফতার ব্যক্তিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে ছেড়ে দিতে হয় বা কোনো আইনের আওতায় তাকে গ্রেফতার দেখাতে হয়। তবে বিনা কারণে বা কোনো কারণে যদি এরকম কোনো ঘটনার সম্মুখীন হন তাহলে আপনার কি করণীয়। জেনে নেয়া যাক তাৎক্ষণিক কি করতে পারেন আপনি।

Advertisement

পুলিশ গ্রেফতার করলে করণীয়-

- পুলিশের কাছে নাম, ঠিকানা ও পেশাসহ পরিচয় তুলে ধরতে হবে।

- পেশজীবী বা ছাত্র হলে পরিচয়পত্র প্রদর্শন করা যেতে পারে। এ কারণে সবসময় পরিচয়পত্র সাথে রাখা উচিত।

Advertisement

- এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতির অংশ হিসেবে পরিচিত আইনজীবীর ফোন নম্বর সাথে রাখা যেতে পারে এবং গ্রেফতারের পর দ্রুত আইনজীবীকে বিষয়টি জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা উচিত। অন্তত আত্মীয় বা বন্ধুকে বিষয়টি জানানোর চেষ্টা করা যেতে পারে।

- ঢাকায় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলে মিন্টো রোডের ডিবি অফিসে নেয়া হয়, আর যে কোনো থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলে সংশ্লিষ্ট থানায় নেয়া হয়।

- গ্রেফতারের পর কাউকে লকআপে রাখার আগে তার বিভিন্ন জিনিসপত্র যেমন- কাগজ, মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সা ও ক্রেডিট কার্ড থাকলে তার কাছ থেকে নিয়ে নেয়া হয়। তবে সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসার সেগুলোর একটি তালিকা তৈরি করে আটক ব্যক্তির স্বাক্ষর নেয়। এই স্বাক্ষর দেয়ার সময় তালিকাটি পড়ে নেয়া উচিত।

- পুলিশ অফিসারের কাছে কোন বিবৃতি দিলে তা পাঠ করে বা বিবৃতির ভাষ্য অবগত হয়ে তাতে স্বাক্ষর করা উচিত।

Advertisement

- গ্রেফতারের পর আইনজীবী বা পরিবারের কাউকে গ্রেফতারের বিষয়টি জানাতে না পারলে আদালতে হাজির করার পর ম্যাজিস্ট্রেটকে সরাসরি বিষয়টি জানানো উচিত। এতে আইনি সহায়তা পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

- গ্রেফতারের পর কোনো পর্যায়ে নির্যাতনের শিকার হলে বা অসুস্থ হলে আদালতের মাধ্যমে বা নিজ উদ্যোগে মেডিকেল চেকআপ করিয়ে নেয়া যায়। চেকআপ করালে এ রিপোর্টটি সংগ্রহে রাখা উচিত। চেকআপকারী ডাক্তারের পরিচয় জেনে রাখা উচিত। কারণ তা পরবর্তীতে প্রয়োজন হতে পারে।

- পুরনো কোনো মামলায় গ্রেফতার হলে দ্রুত ওই মামলার নম্বরসহ কাগজপত্র নিয়ে আদালতে গিয়ে জামিন শুনানির চেষ্টা করা যেতে পারে।

- নতুন কোনো মামলায় বা কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেফতার হলে একজন আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শক্রমে জামিন শুনানির চেষ্টা করা যেতে পারে।