ফিচার

যাবতীয় ব্যথাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়

আমাদের দেশের বিভিন্ন বয়সের মানুষ প্রতিনিয়ত নানা ধরনের শারীরিক ব্যাধিতে ভোগেন। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গের ব্যথা এর মধ্যে অন্যতম একটি ব্যাধি। অনেকেই এ ধরনের ব্যথাকে সারা জীবনের জন্য মেনে নেয়ার চিন্তা করেন। তবে একটু খেয়াল করলে এবং সামান্য কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে এ ধরনের টুকিটাকি ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।কোমরে ব্যথা১. মেরুদণ্ড সোজা রেখে কাজ করবেন।২. ভারি কাজ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন।৩. ঘুমানোর সময় ঘাড়ে নরম বালিশ ব্যবহার করবেন।৪. ডায়াবেটিস থাকলে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখুন।ঘাড়ে ব্যথা ১. ফোমের বিছানা বা সোফায় ঘুমাবেন না। শক্ত এবং সমতল বিছানায় ঘুমাবেন।২. কাজ করার সময় বেল্ট ব্যবহার করবেন।৩. চেয়ারে বসার সময় ঘাড় ও পিঠ সোজা করে রাখবেন। হাতলওয়ালা চেয়ারে বসবেন।৪. দীর্ঘক্ষণ ঝুঁকে কোনো কাজ করবেন না।৫. উপুড় হয়ে ঘুমাবেন না।৬. মহিলাদের ক্ষেত্রে হাই হিল পরিত্যাগ করাই ভালো।৭. শরীরের ওজন লম্বা অনুপাতে রাখুন।৮. ব্যথা অবস্থায় মালিশ করা এবং ব্যায়াম করা নিষেধ।কাঁধে ব্যথা১. ঘাড়ের নাড়াচাড়া কম করতে হবে।২. ছোট নরম বালিশ ব্যবহার করুন।৩. ঘুম থেকে ওঠার সময় সাবধানে উঠুন।৪. ঝুঁকে থেকে কোনো কাজ করবেন না।দাঁতের ব্যথা১. প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে এবং ঘুম থেকে উঠে অবশ্যই ভালো করে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। ২. কোনো প্রকার মাজন ব্যবহার করবেন না। ৩. অনেকে মনে করেন বেশি সময় ধরে দাঁত ব্রাশ করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। কিন্তু একথা ভুল। ৪. সর্বোচ্চ দুই মিনিটের বেশি দাঁত ব্রাশ করা ঠিক না।৫. কোনো খাবার খাওয়ার পরে ভালো করে কুলি করবেন।৬. পান, জর্দা বা তামাক জাতীয় দ্রব্য পরিহার করবেন।৭. ছোটদেরকে চকলেট বা আইসক্রিম জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত রাখুন।হাঁটু ব্যথা১. লম্বা অনুপাতে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন।২. সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামার সময় মেরুদণ্ড সোজা রেখে হাঁটু ভাজ না করে ধীরে ধীরে ওঠা-নামা করুন।৩. একই স্থানে বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে বা বসে থাকবেন না।৪. ভারি জিনিস বহন করবেন না।৫. ডায়াবেটিস রোগিরা হাঁটার পরিবর্তে সাঁতার কাটুন বা সাইকেল চালান।গোড়ালি ব্যথা১. নরম সোলের জুতা ব্যবহার করুন।২. হাইহিল জুতা পরিহার করুন।৩. শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন।৪. ব্যথা থাকা অবস্থায় মালিশ করা বা ব্যায়াম করা নিষেধ।এসইউ/এমএস

Advertisement