বয়স ৩৯ বছর। এ বয়সেও খেলা চালিয়ে যেতে পারতেন দিলকরত্নে দিলশান। কিন্তু নবীনদের কথা ভেবে সেটা আর দীর্ঘায়িত করেননি তিনি। সব কিছু ভেবেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন লঙ্কান এই তারকা। শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিই ছিল জাতীয় দলের হয়ে তার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। বিদায়বেলায় দিলশান জানালেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে এমন কিছু স্মৃতি আছে, যা তিনি কখনো ভুলবেন না। প্রত্যেক ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন থাকে লর্ডসে খেলা। ক্রিকেটের তীর্থভূমি খ্যাত এই মাঠে বোলাররা যেমন মুখিয়ে থাকেন পাঁচ উইকেট নিয়ে অনার্স বোর্ডে নাম তুলতে। তেমনি ব্যাটসম্যানরা মুখিয়ে থাকেন সেঞ্চুরি করে ওই বোর্ডে নাম তুলতে। একজন অলরাউন্ডার হিসেবে দিলশান পারতেন দুই বিভাগেই নাম তুলতে। দুটোতে অবশ্য পারেনি, তবে ব্যাটসম্যান দিলশান ঠিকই নাম লিখিয়েছেন সেঞ্চুরি করে। টেস্ট ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ১৯৩ রানের ইনিংসটি তিনি খেলেছেন ওই লর্ডসেই।বিদায়বেলায় লর্ডসের সেই সেঞ্চুরির কথা স্মরণ করলেন দিলশান। স্মরণ করলেন চরম লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে দলে সুযোগ পাওয়া আর অভিষেকের কথা। লঙ্কান এই ক্রিকেটারের ভাষায়, ‘কিছু স্মৃতি আছে, যা আমি কখনো ভুলবো না। আমার অভিষেকের ব্যাপারটা কখনো ভুলবো না। কারণ অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েই জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলাম। যেকোনো খেলোয়াড়েরই লর্ডসে সেঞ্চুরি করতে মুখিয়ে থাকে। আমি সেখানে সেঞ্চুরি করেছি।’প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দিলশানের অভিষেক ১৯৯৯ সালের নভেম্বরে, টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে। এরপর ৮৭টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। ৪০.৯৮ গড়ে করেছেন ৫৪৯২ রান। যার মধ্যে রয়েছে ১৬টি সেঞ্চুরি ও ২৩টি ফিফটি। ওয়ানডে খেলেছেন ৩৩০টি। ৩৯.২৬ গড়ে নামের পাশে যোগ করেছেন ১০ হাজার ২৯০ রান। ৪৭টি ফিফটির পাশাপাশি ২২টি সেঞ্চুরি রয়েছে একদিনের ক্রিকেটে। ৮০টি টি-টোয়েন্টি খেলে করেছেন ১৮৮৯ রান।এনইউ/আরআইপি
Advertisement