আন্তর্জাতিক

বোকো হারামের তাণ্ডবে মৃত্যুর প্রহর গুণছে শিশুরা

শিশুদের জন্য জরুরি খাবার সরবরাহ কেন্দ্র থেকে গোঙানির হালকা শব্দ বাইরে বেরিয়ে আসছে। যেন কান্নার শক্তিও আসতে আসতে ক্ষয়ে আসছে। ভেতরে কঙ্কালসার শিশুরা পড়ে আছে। নাইজেরিয়ার এসব কেন্দ্রে শিশুদেরকে জরুরি খাবার সরবরাহ করা হতো। কিন্তু স্থানীয় জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারামের নৃশংসতার থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছে না শিশুরা। খাবার না পেয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে শিশুরা; লড়াই নয় যেন মৃত্যুর প্রহর গুণছে তারা। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইথ আউট বর্ডার্স বলছে, জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অনুসারী বোকো হারামের ভয়াবহ নৃশংসতার সর্বশেষ শিকার হয়েছে দেশটির শিশুরা। কেউ জানেন না শরণার্থী শিবিরে কত শিশু না খেয়ে মরছে, ওই সব এলাকায় জঙ্গিদের উপস্থিতির কারণে প্রবেশ করাও বিপজ্জনক।        আন্তর্জাতিক এই দাতব্য সংস্থা দেশটিতে শিশুদের জন্য জরুরি খাদ্য সরবরাহ কেন্দ্র চালু করেছে। বোকো হারাম জঙ্গিগোষ্ঠী কিছু এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে আরো ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে; সংস্থাটি বলছে, নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে,এবং  বোকো হারামের নৃশংসতার শিকার মানুষের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।নাইজেরিয়ার বৃহত্তম শহর মাইদুগুরির একটি কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত মার্কিন ধাত্রী জিন স্টওয়েল বার্তাসংস্থা এপিকে বলেন, এই শিশুদের জীবন পুরোটাই ক্ষুধার্ত, এখানে অনেকেই মারা গেছে; তবে এদের অনেকেই এখানে আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মারা গেছে। ১১০ আসনের এই কেন্দ্রে শিশুদের জন্য বর্তমানে চারগুণ আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে; কিন্তু খুব দ্রুতই সেসব আসনও পূরণ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব টবি ল্যাঞ্জার ব্রাসেলসে এক বৈঠকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, বোকো হারাম জঙ্গিরা ব্যবসা বাণিজ্যে ও সহায়তা পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে। এর ফলে দেশটির আড়াই লাখেরও বেশি শিশু বর্তমানে অপুষ্টিতে ভুগছে। এ ছাড়া ওই অঞ্চলে এখনো ২০ লাখ মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়নি এবং আমরা তাদের পরিস্থিতি অনুধাবন করতে পারছি না। তবে অনুমান করতে পারি যে, এই পরিস্থিতি অত্যন্ত বাজে।এসআইএস/আরআইপি

Advertisement