জাতীয়

নারী সৈনিক নারীর ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ : প্রধানমন্ত্রী

এখন নারীরাও দেশরক্ষার গর্বিত সৈনিক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হানিসা বলেছেন, ফোর্সেস ২০৩০ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় সেনাবাহিনীতে নারী কর্মকর্তাদের পাশাপাশি নারী সৈনিক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর মতো একটি চ্যালেঞ্জিং পেশায় নারীদের অংশগ্রহণ নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের শহীদ সালাহউদ্দিন সেনানিবাসের শহীদ বীর উত্তম সিপাহী নুরুল হক প্যারেড মাঠে প্রথম মহিলা সৈনিক ব্যাচ শপথ গ্রহণ ও প্রশিক্ষণ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। নারীদের একক এই কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে ৮৭৮ জন নবীন সৈনিক অংশ নেন।শেখ হাসিনা বলেন, সেনাবাহিনীর মতো একটি চ্যালেঞ্জিং পেশায় নারীদের অংশগ্রহণ নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আপনারা এএমসি সেন্টার স্কুলে ডিপ্লোমা ইন মেডিকেলে অ্যান্ড হেলথ টেকনোলজি সম্পন্ন করে সেনাবাহিনীর চিকিৎসাসেবায় বাংলাদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বেন। আপনাদের একাগ্রতার মাধ্যমে দেশের আপামর জনসাধারণ চিকৎসাসেবায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশাবাদী।তিনি বলেন, সমাজের অর্ধেক জনসংখ্যাই নারী। নারীদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো ক্ষেত্রেই পূর্ণাঙ্গ সাফল্য অর্জন সম্ভব নয়। এই কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে ৮৭৯ জন নবীন নারী প্রশিক্ষণার্থী তাদের মৌলিক সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে শপথ নেন।প্রধানমন্ত্রী জানান, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা সিদ্ধান্ত নিই। তার ভিত্তিতে আর্মি মেডিক্যাল কোরে নারী অফিসারের পাশাপাশি ২০০০ সালে তার সরকার অন্যান্য কোরেও নারী অফিসার নিয়োগ শুরু করে। বর্তমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন আর্মস ও সার্ভিসে নারী অফিসাররা দেশে ও শান্তিরক্ষা মিশনে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারী সৈনিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন,  আজকের দিনটি আপনাদের জীবেন অত্যন্ত আনন্দের এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গর্বিত সৈনিক হিসেবে আপনারা বৃহত্তর কর্মজীবনে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন। আপনাদের ওপর ন্যস্ত হচ্ছে দেশমাতৃকার মহান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব।আরএস

Advertisement