মতামত

প্রশংসনীয় উদ্যোগ

‘হতদরিদ্রদের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির’ আওতায় কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। গত বুধবার সকালে কুড়িগ্রামের চিলমারী থানাহাট এ ইউ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক সুধী সমাবেশে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ শ্লোগানে  নির্ধারিত কার্ডের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি দরে প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন হতদরিদ্ররা। পল্লী রেশনিং কার্ডধারীদের প্রতিবছর মার্চ, এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর-এই পাঁচ মাস দেওয়া হবে এ খাদ্য সহায়তা। কুড়িগ্রাম জেলার এক লাখ ২৫ হাজার ২৭৯টি পরিবার এ কর্মসূচির আওতায় পাঁচ মাসব্যাপী এই চাল পাবে।  এ ধরনের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। দরিদ্র মানুষ যেন কোনো অবস্থায়ই কষ্টে না থাকে সেটি দেখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্মসূচি উদ্বোধনের সময় বলেছেন, কেউ না খেয়ে থাকবে না। সেটিই স্বাভাবিক। একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশে প্রতিটি নাগরিক তার অধিকার নিয়ে বাঁচবে- এটি রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে। কারণ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা চিকিৎসার মতো মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করা একটি রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এটা খুবই আশার কথা।পরিকল্পনা মাফিক চললে যে অনেক কিছু করা সম্ভব তার প্রমাণ তো আমরা ইতিমধ্যেই পেয়েছি। উত্তরাঞ্চল এক সময় ছিল মঙ্গাপীড়িত। অভাব অনটন লেগেই থাকতো। এখন মঙ্গা বলে কিছু নেই। ভবিষ্যতে হয়তো এমন দিন আসবে যেদিন আর কাউকে ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ)  কার্ড বা স্বল্পমূল্যে চাল দিতে হবে না। এ জন্য পরিকল্পনা নিয়ে এগুতে হবে। যে অঞ্চলে যে ধরনের ফসল ফলে সেখানো সে ধরনের ফসল উৎপাদনের জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। আর সে অনুযায়ী শিল্প-কারখানাও গড়ে তুলতে হবে।  কৃষক যাতে ফসলের ন্যায্য মূল্য পায় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। কৃষিজমি রক্ষাও নিতে হবে কার্যকর পদক্ষেপ।মনে রাখা প্রয়োজন কোনো বিশেষ ব্যবস্থা বা প্রণোদনা চিরদিনের জন্য নয়। এ জন্য প্রতিটি মানুষকেই স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে হবে। বিশেষ করে দারিদ্রপীড়িত অঞ্চলে নিতে হবে বিশেষ উদ্যোগ। বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ হতে চলেছে। এ দেশে কেউ না খেয়ে থাকবে-এটা ভাবাও যায় না। একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ পেতে হলে প্রত্যেকের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। এইচআর/পিআর

Advertisement