ওজন একবার বেড়ে গেলে তা কমানোটা মুখের কথা নয়। অনেকেই অনেকরকম চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষমেষ দেখা যায় ফলাফল শুণ্য। নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে উল্টো ওজনের পারদটা আরও কয়েক ডিগ্রি বেড়ে যাচ্ছে। এমনটা কেন হতে পারে, চলুন জেনে নিই তার কারণগুলো-১. ব্যায়াম করলে ক্ষুধা বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এ ক্ষুধাকে নিয়ন্ত্রণ না করে ব্যায়ামের পাশাপাশি বাড়তি খাবার খেতে থাকলে তা দেহের ওজন আরো বাড়িয়ে দেবে। ওজন কমানোর জন্য আপনি যে পরিমাণ ক্যালরি গ্রহণ করছেন, তারচেয়ে বেশি খরচ করতে হবে।২. ওজন কমানোর জন্য খাবার নির্বাচনে সচেতন হওয়া উচিত। অনেকেই ক্যালরির হিসাব করলেও শেষ পর্যন্ত তাতে গরমিল করে ফেলেন। আর অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট (আলু, ভাত, আটা থেকে তৈরি পণ্য) গ্রহণ এ ক্ষেত্রে সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে দেয়।৩. ব্যায়ামের সবগুলোই যদি হালকা হয় তাহলে তা ওজন কমাতে ভূমিকা নাও রাখতে পারে। তাই অনেক বিশেষজ্ঞ হালকা ব্যায়ামের পাশাপাশি ভারী ব্যায়াম করতে বলেন। এর মধ্যে থাকতে পারে বুক ডন, স্কোয়াট ও লাঞ্জ।৪. কার্ডিও ব্যায়াম হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী। ব্যায়াম হিসেবেও এটি ভালো। কিন্তু শুধু এ ব্যায়ামটি করলে কিংবা এটি মাত্রাতিরিক্ত করলে তা সমস্যা তৈরি করতে পারে। এতে আপনার ক্ষুধা মাত্রাতিরিক্ত হারে বাড়বে এবং দেহের ওজনও বাড়বে পাল্লা দিয়ে।৫. স্বাভাবিক একজন মানুষের শারীরিক পরিশ্রম করে ওজন কমাতে কিছুদিন সময় ধৈর্য ধরে চেষ্টা করতে হবে। সপ্তাহে কয়দিন কোন ধরনের ব্যায়াম করবেন, তা ঠিক করে নিতে হবে। অন্যথায় এক দিন ইচ্ছেমতো ব্যায়াম, এক দিন বিশ্রাম এমন করে সঠিক ফল নাও পেতে পারেন।৬. আপনি যদি আলসে বা আরামপ্রিয় হন, তাহলে সামান্য পরিশ্রমেই আপনার মনে হতে পারে, `অনেক হয়েছে`। যদিও পর্যাপ্ত ব্যায়াম না করলে এর কোনো উপকারিতা আপনি নাও পেতে পারেন। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় ধরে ব্যায়াম করলেও হবে না। কারণ সময়ের চেয়ে আপনি কতখানি পরিশ্রম করলেন তা এখানে গুরুত্বপূর্ণ।৭. ওজন কমানোর জন্য শারীরিক অনুশীলনের একটি নির্দিষ্ট মাত্রা থাকতে হবে। আপনার দেহকে পর্যাপ্ত ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত বিশ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। কারণ মাত্রাতিরিক্ত অনুশীলন করলে তাতে দেহের কর্টিসল নামে হরমোনের মাত্রায় গণ্ডগোল হতে পারে। তাই ওজন কমানোর জন্য শুধু শারীরিক অনুশীলনই নয়, প্রয়োজন পর্যাপ্ত বিশ্রামের।এইচএন /এমএস
Advertisement