আল্লাহ তাআলা সুন্দর সুন্দর গুণবাচক নাম রয়েছে। তাঁকে এ সুন্দর নামে ডাকার তথা তাঁর জিকির করার কথা তিনি কুরআনে বলেছেন। প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে আলাদা আলাদাভাবে এ নামের জিকিরের আমল ঘোষণা করেছেন। আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নামসমূহের মধ্যে (اَلْخَالِقُ) ‘আল-খালিক্বু’ একটি। যার অর্থ সকল কিছুর সৃষ্টিকারী। সংক্ষেপে এ গুণবাচক নাম (اَلْخَالِقُ) ‘আল-খালিক্বু’-এর জিকিরের আমল ও ফজিলত তুলে ধরা হলো-উচ্চারণ : ‘আল-খালিক্বু’অর্থ : সকল কিছুর সৃষ্টিকারী; সৃজনকারী।ফজিলত>> যে ব্যক্তি সব সময় এ গুণবাচক নাম (اَلْخَالِقُ) ‘আল-খালিক্বু’-এর জিকির করবে; আল্লাহ তাআলা তাঁর জন্য এমন একজন ফেরেশতা সৃষ্টি করবেন, যে তাঁর জন্য কিয়ামাতের দিন পর্যন্ত ইবাদাত করতে থাকবে।>> যে ব্যক্তি সব সময় এ গুণবাচক নাম (اَلْخَالِقُ) ‘আল-খালিক্বু’-এর জিকির করবে; এ নামের জিকিরের বরকতে আল্লাহ তাআলা তাঁর অন্তর ও চেহারাকে উজ্জ্বল করে দেন।>> হজরত আবদুর রহমান রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘যে ব্যক্তি রাতের বেলায় এ গুণবাচক নাম (اَلْخَالِقُ) ‘আল-খালিক্বু’-এর জিকির বেশি বেশি করবে; তাঁর অন্তর ও মুখমণ্ডল আলোকময় ও উজ্জ্বল হবে এবং সব ভালো কাজে যুক্ত থাকবে।>> যে ব্যক্তি প্রতিদিন ১০০০ বার এ গুণবাচক নাম (اَلْخَالِقُ) ‘আল-খালিক্বু’-এর জিকির করবে; আল্লাহর ইচ্ছায় তাঁর ছেলে সন্তান নসিব হবে।>> এই পবিত্র গুণবাচক নাম (اَلْخَالِقُ) ‘আল-খালিক্বু’ সাত দিন পর্যন্ত অনবরত জিকির করলে সকল কঠিন বিপদ থেকে নিরাপত্তা লাভ করবে। এমনকি গভীর (মধ্য) রাতে অনেকবার এ নামের জিকির করলে আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাগণকে তাঁর জন্য ইবাদাত করার আদেশ করেন এবং কেয়ামত পর্যন্ত ফেরেশতাগণের ইবাদাত (সাওয়াব)আমলকারীর আমলনামায় লেখা হতে থাকে।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাঁর গুণবাচক নাম (اَلْخَالِقُ) ‘আল-খালিক্বু’-এর জিকির করে উল্লেখিত ফজিলতগুলো লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/এবিএস
Advertisement