মতামত

আলামত কিন্তু ভালো নয়

ঈদযাত্রায় নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা লোকজনের দুর্ভোগ যেন ললাট লিখন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যত প্রস্তুতির কথাই বলা হোক না কেন দুর্ভোগ যে এবারো কপালে আছে তার আলামত ইতোমধ্যেই দেখা গেছে। সড়ক-মহাসড়কে দেখা দিচ্ছে মাইলের পর মাইল যানজট। অন্যদিকে হঠাৎ করেই সড়ক অবরোধ করার মতো ঘটনাও ঘটছে। এসব ব্যাপারে আরো সতর্ক হতে হবে। যে কোনো মূল্যে যানজট নিরসন করে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হবে। ঈদযাত্রায় ব্যাপক ভাবে ঘরে ফেরা শুরু না হলেও ইতোমধ্যেই কিছু কিছু লোকজন বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। এছাড়া ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রচুর পরিমাণে পশুবাহী ট্রাক ঢাকায় আসছে। এরই মধ্যে খবর বেরিয়েছে পাটুরিয়ার দুর্বিপাক আর ঢাকার পথে গরুর ট্রাকের চাপে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তৈরি হয়েছে তীব্র যানজট। বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাশ থেকে গাজীপুরের সীমানায় চন্দ্রা পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সড়কে মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে গাড়ি চলছে থেমে থেমে। পাটুরিয়ায় তিনটি ফেরিঘাট বন্ধ থাকায় অনেক যানবাহন সড়ক পথে ঢাকা আসছে। এছাড়া কোরবানির মৌসুমে উত্তরবঙ্গ থেকে গরু ভর্তি অনেক ট্রাক ঢাকার দিকে যাচ্ছে। এ কারণে রাত থেকে এ সড়কের ঢাকামুখী অংশে গাড়ির তীব্র চাপ রয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতুএলাকা থেকে ঢাকার দিকে তীব্র এ যানজটে দুর্ভোগে পড়েছেন ঢাকামুখী যাত্রীরা। অন্যদিকে আজ টঙ্গীতে সড়ক অবরোধের কারণে দেখা দেয় তীব্র যানজট। ঈদ মৌসুমে যেখানে মানুষজনের চলাচল বেড়ে গেছে সেখানে যদি এ ধরনের হঠকারি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, হঠাৎ করেই রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে মানুষের দুর্ভোগের কোনো সীমা থাকে না। এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনো উসিলায় রাস্তা অবরোধ করার মতো জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী কর্মসূচি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।  এছাড়া পশুবাহী ট্রাক যাতে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে সে ব্যাপারেও নিতে হবে কার্যকর পদক্ষেপ।এ জন্য হাইওয়ে পুলিশকে আরো সক্রিয় হতে হবে। রাস্তার ওপর যানবাহন নষ্ট হয়ে পড়লে সেখানেও দেখা দেয় তীব্র যানজট। এ ব্যাপারে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখতে হবে। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখার ব্যাপারেও তৎপর থাকতে হবে।  ঘরমুখো লোকজনের নির্বিঘ্নে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করাই এখন সংশ্লিষ্টদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।এইচআর/এমএস

Advertisement