শিক্ষা

মেডিকেলে ভর্তিচ্ছুদের প্রতি মিনিটে ৮ আবেদন : কেন্দ্র বাড়লো ২টি

সরকারি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে চলতি বছর এমবিবিএস কোর্সে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা অনলাইনে প্রতি মিনিটে ৮টি করে আবেদনপত্র পূরণ করছেন। আগামী ৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য ২০১৬ ও ২০১৭ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য গত ৩১ আগস্ট থেকে অনলাইনে আবেদনপত্র গ্রহণ শুরু হয়। চলবে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৬ আগস্ট) পর্যন্ত সরকারি বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে পরীক্ষা কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ইতোমধ্যেই ৭৮ হাজারেরও বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ করেছেন।অনুসন্ধানে জানা গেছে, ভর্তির আবেদনের শেষ সময়সীমা শেষ হতে এখনো প্রায় দুই সপ্তাহ বাকি থাকলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারিত সরকারি ১৬টি মেডিকেল কলেজে পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে হাতেগোনা তিন/চারটি মেডিকেল কলেজে (বরিশাল, কুমিল্লা, ফরিদপুর ও খুলনা) স্বল্পসংখ্যক আসন ছাড়া সব কয়েকটেতে নির্ধারিত আবেদনকারী শিক্ষার্থীর কোটা পূরণ হয়ে গেছে।গত বছর ২৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা গ্রহণ করা হলেও এবার সর্বোচ্চ ৯০ হাজার আবেদনকারী হতে পারে ভেবে সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের স্বার্থে ৭টি পরীক্ষা কেন্দ্র কমিয়ে ১৬টি পরীক্ষা কেন্দ্র করা হয়।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জাগো নিউজকে জানান, আবেদনকালীর সংখ্যা ৯০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কায় দুটি পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা সোমবার বৃদ্ধি করা হয়।স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রশীদ সোমবার রাতে জানান, নতুন দুটি পরীক্ষা কেন্দ্র হলো কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও রংপুর মেডিকেল কলেজ। এ দুটি কেন্দ্রের মধ্যে রংপুর মেডিকেল কলেজে ৫ হাজার ও শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্রের জন্য সর্বোচ্চ ৩ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবেন বলে তিনি জানান।গত বছর পর্যন্ত কেন্দ্রীয়ভাবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অভিন্ন প্রশ্নপত্রে একইদিন একই সময় অনুষ্ঠিত হলেও এবার মেডিকেল ও ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে আলাদা দিনে।তার মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) সর্বোচ্চ ১০ হাজার, স্যার সলিমুল্লাহ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে ৭ হাজার করে; সিলেট এমএজি, বরিশাল শেরেবাংলা, কুমিল্লা, খুলনা, বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান, ফরিদপুর ও দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের প্রতিটিতে ৫ হাজার করে; পাবনা ও শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের প্রতিটিতে দুই হাজার ও ডেন্টাল কলেজে ৬ হাজার আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে। নতুন করে রংপুর ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে ৮ হাজার আসন বৃদ্ধি পেলো।পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা কেন বৃদ্ধি পেলো এ প্রসঙ্গে ডা. মো. আবদুর রশীদ জানান, ভর্তি পরীক্ষার প্রায় দুই সপ্তাহ বাকি থাকলেও এখনো শিক্ষার্থীরা আবেদন করছে। মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ হয় আর না হয় ভর্তিচ্ছু সবাইকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে নতুন দুটি পরীক্ষা কেন্দ্র বৃদ্ধি করা হয়েছে।এমইউ/বিএ

Advertisement