২০০৭ সালে টি-টোয়োন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ দলীয় রানের স্কোর গড়েছিল শ্রীলংকা। জোহানেসবার্গে কেনিয়ার বিপক্ষে ওই রেকর্ডটি গড়েছিলেন লংকান ব্যাটসম্যানরা। ৯ বছর টিকেছিল শ্রীলংকার ওই রেকর্ড। এবার লংকানদের মাটিতেই তাদের বিপক্ষে সেই রেকর্ড ভেঙে দিল অস্ট্রেলিয়া। পাল্লেকেলে ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৬৩ রান তুলে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া।দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন সম্প্রতি ওয়ানডে দল থেকে বাদ পড়া গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। যেন ভারত মহাসাগরে ওঠা টর্নেডো। মাত্র ৬৫ বল খেলে ১৪৫ রান করেছেন ম্যাক্সওয়েল। রেকর্ড ভাঙার একেরবারে ধারপ্রান্তে চলে এসেছিলেন তিনি। তবে, শেষ মুহূর্তে স্ট্রাইক না পাওয়ায় সে রেকর্ড ভাঙতে না পারলেও অন্য প্রান্তে ট্রাভিস হেড মাত্র ১৮ বলে ৪৫ রান তুলে দলীয় ইনিংসের রেকর্ডটা ভেঙে দেন।শ্রীলংকার গড়া ২৬০ রানের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভাঙতে শেষ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ১৪ রান। ট্রাভিস হেড আর গ্লেন ম্যাক্সওয়েল মিলে তুললেন ১৬ রান। তাতেই ২৬৩ রানের এভারেস্টে চড়লো অসিরা। টি-টোয়েন্টিতে ব্যাক্তিগত সর্বোচ্চ ১৫৬ রানের রেকর্ডটি আরেক অস্ট্রেলিয়ান অ্যারোন ফিঞ্চের। অপরাজিত থাকলেও রেকর্ড থেকে দুরেই থেকে গেলেন ম্যাক্সওয়েল। সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড না হলেও আরেকটি রেকর্ড গড়েছেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবার ওপেন করতে নামা কোনো ব্যাটসম্যানের এটিই প্রথম সেঞ্চুরি। এর আগে সর্বোচ্চ ৯৬ ছিল এই ম্যাচের ধারাভাষ্য কক্ষে থাকা ডেমিয়েন মার্টিনের।অর্ধশতক স্পর্শ করতে ২৭ বল খেলেছিলেন ম্যাক্সওয়েল। পরের পঞ্চাশে লেগেছে ২২ বল। ৯৮ রান থেকে সুরঙ্গা লাকমলের নো বলে দুই রান নিয়ে নিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি স্পর্শ করেছেন ৪৯ বলে।টস জিতেছিল শ্রীলংকা। তারা আমন্ত্রণ জানায় অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাট করার জন্য। শুরু থেকেই ম্যাক্সওয়েল আর ওয়ার্নার মিলে ঝড় তুলতে থাকেন। ১৪৫ রানে অপরাজিত থেকে যান ম্যাক্সওয়েল। ৬৫ বলে ১৪টি চার ও ৯টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ১৬ বলে ২৮ রান করেন ওয়ার্নার। ২২ বলে ৩৬ রান করেন উসমান খাজা। শেষ মুহূর্তে ১৮ বলে ৪৫ রান করেন ট্রাভিস হেড। ৪টি বাউন্ডারি আর ৩টি ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংস।আইএইচএস/এবিএস
Advertisement