যশোরের আলোচিত স্থানীয় দৈনিক রানার পত্রিকার সম্পাদক আরএম মঞ্জুরুল আলম টুটুল (৪৮) আর নেই। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নওয়াপাড়া থেকে যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়েছে।তার বন্ধু আজম খান টুলু জানান, সকাল ৮টার দিকে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নওয়াপাড়ার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা টুটুলকে যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। কিন্তু, যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই টুটুল মারা যান।তিনি আরও জানান, কয়েকদিন ধরেই টুটুল বুকে ব্যথা অনুভব করছিলো। মঞ্জুরুল আলম টুটুল শহীদ সাংবাদিক গোলাম মাজেদের ছেলে ও আরেক শহীদ সাংবাদিক রানা’র সাবেক সম্পাদক আরএম সাইফুল আলম মুকুলের ভাই।দুঃসাহসী লেখালেখির কারণে গোলাম মাজেদ স্বৈরশাসক এরশাদের শাসনামলে ১৯৮৪ সালে নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতনে মৃত্যুবরণ করেন। গোলাম মাজেদের মৃত্যুর পর তার বড় ছেলে আরএম সাইফুল আলম মুকুল আলোচিত পত্রিকা দৈনিক রানারের সম্পাদকের দায়িত্ব নেন। ১৯৯৮ সালের ৩০ আগস্ট রাতে নিজ অফিসের কাছে দুর্বৃত্তদের বোমা ও গুলিতে নিহত হন সাইফুল আলম মুকুল। এরপর পত্রিকাটির হাল ধরেন গোলাম মাজেদের আরেক ছেলে আরএম মঞ্জুরুল আলম টুটুল। ২০০৪-২০০৫ সাল পর্যন্ত দৈনিক রানার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দাপটশালী পত্রিকা হিসেবে টিকে ছিল। কিন্তু, আর্থিক কারণে আধুনিক প্রযুক্তি সংযোজনে ব্যর্থ হওয়ায় পত্রিকাটি বাজার হারায়। বর্তমানে দৈনিক রানার অনিয়মিতভাবে প্রকাশিত হয়।মঞ্জুরুল আলম টুটুল বিভিন্ন সময় প্রেসক্লাব যশোরের সহ সভাপতি ও কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন।এদিকে, মঞ্জুরুল আলম টুটুলের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন যশোরের সাংবাদিক সংগঠনগুলো ছাড়াও রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর নেতারা। সকাল থেকে বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা দৈনিক রানার কার্যালয়ে গিয়ে শোকাহত পরিবার-সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।এমএএস/পিআর
Advertisement