খেলাধুলা

স্বপ্নের নায়কের সান্নিধ্যে মাশরাফি

কোর্টনি ওয়ালশ ছিলেন তার ছোটবেলার আদর্শ। তার স্বপ্নের নায়ক। ওয়ালশের বোলিং দেখে দেখেই নিজেকে পেস বোলার হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন বুনেছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা কৌশিক। অবশেষে ছোট বেলার স্বপ্নের নায়কের সান্নিধ্য পেয়েছেন মাশরাফি, তবে সেটা অনেক দেরিতে। তার ক্যারিয়ারের প্রায় শেষ প্রান্তে। তবুও ছোটো বেলার আদর্শকে কাছে পেয়ে রোমাঞ্চিত, আপ্লুত মাশরাফি।গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পেস বোলিং কোচ হিসেবে নাম ঘোষণার পরই সবার আগে কোর্টনি ওয়ালশকে নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। সেখানেই তিনি জানান, ক্যারিবীয় এই কিংবদন্তীই ছিলেন তার স্বপ্নের নায়ক। তাকে নিজেদের বোলিং কোচ হিসেবে পেয়ে দারুন রোমাঞ্চিত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের রঙিন জার্সির অধিনায়ক। সেই কোর্টনি ওয়ালশ ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন শনিবার রাতে। রোববার মিরপুরের শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামস্থ বিসিবি কার্যালয়ে গিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সারেন এবং প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। এরপর আজ সোমবার প্রথম মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে পরিচিত হলেন ক্রিকেটারদের সঙ্গে।সেখানেই প্রথম স্বপ্নের নায়কের সান্নিধ্য পেলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। মিরপুরে আসার পর ক্রিকেটারদের সঙ্গে পরিচিত হন ওয়ালশ। একে একে মাশরাফি, মুশফিক, সাকিব, মাহমুদুল্লাহ, মোশাররফ রুবেল, আল আমিন, এনামুল হক বিজয়, নাসির হোসেন কিংবা লিটন দাসরা তার সঙ্গে এসে হ্যান্ডশেক করেন। পাশে দাঁড়িয়ে সতীর্থদেরকে ওয়ালশের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন মাশরাফি।রোববার সংবাদ সম্মেলনে ওয়ালশ বলেছিলেন, কার্টলি অ্যামব্রোস যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে খেলতে আসেন, তখন ওয়ালশের চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতেন। ঠিক মাশরাফিও যেন আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ওয়ালশের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন। মাশরাফির মুগ্ধতা দেখে নিজেও আপ্লুত হয়েছেন কোর্টনি ওয়ালশ। অন্তত আজ মিরপুরে মাশরাফির সঙ্গে কাটানো তার সময়গুলো দেখলেই সেটা প্রমাণ হয়ে যায়।ওয়ালশ বলেছিলেন, তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটে একজন অ্যামব্রোসকে খুঁজে বের করবেন। মাশরাফি বিন মর্তুজাই হতে পারতেন মূলতঃ বাংলাদেশে ওয়ালশের অ্যামব্রোস; কিন্তু ইনজুরির ভয়াল থাবা আর বার বার হাঁটুর অপারেশন তার স্বর্ণ সময়গুলো কেড়ে নিয়েছে। তবুও ৩২ বছরের মাশরাফির এখনও শেখার ইচ্ছার কোন শেষ নেই। প্রিয় ক্রিকেটার, স্বপ্নের নায়ককে ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে পেলেও মাশরাফির শেখার অন্ত থাকবে না। ছোট বেলার আদর্শ ওয়ালশের কাছ থেকে ফাস্ট বোলিংয়ের অনেক সুক্ষ্ম কাজ ও কার্যকর কৌশল মাশরাফিই হয়তো সবচেয়ে ভাল শিখতে পারবেন।মাশরাফি যতদিন বাংলাদেশের ক্রিকেটে নিজেকে ঢেলে দেবেন, ওয়ালশের কল্যাণে ততদিন হয়তো আরও ধারালো বোলিং নিয়েই হাজির হবেন তিনি। পাশাপাশি, নিজের সতীর্থদেরও ক্যারিবীয় কিংবদন্তির কাছ থেকে সর্বোচ্চ শিক্ষাটা নিতে উদ্বুদ্ধ করতে পারবেন।আইএইচএস/এবিএস

Advertisement