খেলাধুলা

ওয়ালশের বেতন হাথুরুর চেয়ে অনেক কম!

তিনি কত বড় মাপের বোলার ছিলেন? নামের পাশে থাকা পাঁচশো`র (৫১৯) বেশি উইকেটই সে প্রশ্নের জবাব। সত্যিই ক্রিকেটার হিসেবে অনেক বড়। দিনক্ষণের হিসেবে অনেক বাঘা বাঘা ফাস্ট বোলারের চেয়ে তার ক্যারিয়ারও লম্বা। একজন ফাস্ট বোলার টানা ১৭ বছর টেস্ট খেলতে পারেন, এমন নজির বড় একটা নেই। কোর্টনি ওয়ালশ সে কাজটি করে দেখিয়েছেন- শৃঙ্খলাবোধ, কঠোর পরিশ্রম, সাধনা ও মনোযোগ- মনোসংযোগের মিশেলে। মাঠে ওয়ালশ এক তুখোর ফাস্ট বোলারের প্রতিচ্ছবি। একদম মসৃণ রানআপ, কোনো তাড়াহুড়ো নেই। হাই আর্ম এ্যাকশন। দৌড় শুরুর মুহূর্ত থেকে বল ছোড়া এবং ফলো থ্রু পর্যন্ত নান্দনিকতায় ভরা। তার লাইনআপের মতোই নিঁখুত লাইন ও লেন্থ। আচার-আচরণেও বিনয়ের অবতার। যেনতেনভাবে সাফল্য অর্জন ও ছল-চাতুরির আশ্রয় নিয়ে জেতার চেয়ে ‘জেন্টলম্যান গেম’ ক্রিকেটের সত্যিকার অনুসারীও এ জ্যামাইকান। তাইতো ১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সঙ্গে বাঁচা-মরার লড়াইয়েও অক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডে না জড়িয়ে সততার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে এখনো স্মরণীয়, বরণীয়। রেখেছেন তার দৃষ্টান্ত। ছয় ফুট সাত ইঞ্চি দীর্ঘদেহী ফাস্ট বোলার ওয়ালশ তার উচ্চতার মতোই বিশাল। এমন এক গুণী ফাস্ট বোলার বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ হয়ে এসেছেন। আগামী ২০১৯ অবধি মাশরাফি, রুবেল, তাসকিন, মোস্তাফিজদের ফাস্ট বোলিংয়ের নানা মন্ত্র, কৌশল শেখাবেন তিনি। আচ্ছা, এই কোচিং করাতে এসে কত টাকা নেবেন ওয়ালশ? তার মাসিক বেতন কত? সেটাও কি তার উচ্চতার মতোই বিশাল? নিশ্চয়ই হেড কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহের চেয়েও অনেক বেশি- নানা কৌতূহলী প্রশ্ন চারিদিকে।শুনলে হয়তো বিশ্বাসই হতে চাইবে না, তবে সেটাই সত্য। ওয়ালশের পারিশ্রমিক মোটেই বেশি নয়। বেশি নয়- বলতে তার নাম, খ্যাতি, যশ ও তারকা ইমেজের তুলনায় বেশ কম। তারকা খ্যাতিতে যোজন যোজন এগিয়ে থাকলেও ওয়ালশের বেতন হেড কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহের চেয়ে অনেক কম; লঙ্কান ব্যাটিং পরামর্শক সামারাবীরার সমান! আগেই জানা, ইংল্যান্ডের সঙ্গে হোম সিরিজকে সামনে রেখে ৪৫ দিনের খণ্ডকালীন ব্যাটিং পরামর্শক হয়ে আসবেন সাবেক লঙ্কান টেস্ট ক্রিকেটার সামারাবীরা। প্রতি কর্ম দিবসে তিনি পাবেন ৫০০ মার্কিন ডলার। চুলচেরা হিসাব কষলে ওয়ালশের দৈনিক পারিশ্রমিকও ঠিক ঐ পরিমাণ। আনুপাতিক হারে ওয়ালশের মাসিক বেতন হাথুরুর ৬৫ ভাগ।  বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট বৃদ্ধিসহ এখন হাথুরুসিংহের মাসিক বেতন দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৮ হাজার ডলার (২৭ হাজার ৭২০ ডলার)। সেখানে ওয়ালশের বেতন পড়বে ১৫ হাজার ডলারের মতো। তার ঠিক মাসিক বেতনটা না জানালেও বোর্ডের উচ্চ পর্যায়ের নির্ভরযোগ্য ও দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, ওয়ালশ বছরে ২০০ কম দিবস কাটাবেন। এই ২০০ দিন বাবদ বিসিবি তাকে ১ লাখ ডলার দেবে। সে হিসেবে তার প্রতিদিনের বেতন ৫০০ মার্কিন ডলার। প্রতিদিনের ঐ অঙ্কটাকে তিরিশ দিনে হিসাব করলে মাসে ১৫ হাজার ডলারই দাঁড়ায়। হিমালয়ের সমান বিশাল ইমেজ যার, তার এর দ্বিগুণ বেতন হলেই বা কি বলার ছিল? এরআরবি/এনইউ/এমএস

Advertisement