দেশজুড়ে

সাহসী বালিকাদের দুরন্ত বাইসাইকেল

‘পিছে লোকে কিছু বলে, বলুক। সেদিকে না তাকিয়ে তারা সামনের দিকেই এগিয়ে যায়। সমাজের পিছিয়ে পড়াদের নিয়ম ভেঙে দলবেধে বাইসাইকেলে চেপে তারা নিয়মিত স্কুলে যাতায়াত করে। ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে পাল্লা দিতেও পিছপা হয় না, এই দুরন্ত সাইকেল বালিকারা। এ যেনো সাহসী বালিকাদের দুরন্তপনা। তাদের এমন সাহসী পদযাত্রা জেলায় শিক্ষামান বাড়াতে সহায়ক হবে বলে মনে করেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা।পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেডিয়ামে রোববার দুপুরে জড়ো হয় পাঁচ শতাধিক দুরন্ত সাইকেল বালিকা। জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাইসাইকেল নিয়ে যাতায়াতকারী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেয়ে শিক্ষার্থীরা এক র‌্যালিতে অংশ নেয়। বাংলাদেশের শীর্ষ স্থানীয় বহুজাতিক শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় স্থানীয় জেলা প্রশাসন এই র‌্যালি আয়োজন করে। জেলা প্রশাসক অমল কৃষ্ণ মন্ডল র‌্যালি উদ্বোধন করেন। স্থানীয় স্টেডিয়াম থেকে শুরু হয়ে র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারো সেখানে গিয়ে শেষ হয়।র‌্যালিতে জেলার ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। র‌্যালি শেষে অতিথি ও স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পরে লটারীর কুপনের মাধ্যমে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের দুরন্ত ব্রান্ডের পক্ষ থেকে ২০ জন সাহসী বালিকার প্রত্যেককে একটি করে দুরন্ত বাইসাইকেল প্রদান করা হয়।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের মার্কেটিং ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থাপক এটিএম তারেক বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাহসী মেয়ে শিক্ষার্থীরা অনেকেই বাইসাইকেল নিয়ে যাতায়াত করে। তাদের উৎসাহ দিতেই আমাদের এই আয়োজন। র্যালিসহ অন্য অনুষ্ঠানে স্বতস্ফূর্তভাবে সাহসী বালিকারা অংশ নেয়। পুরস্কার হিসেবে লটারির মাধ্যমে তাদের ২০ জনকে ২০টি দুরন্ত বাইসাইকেল প্রদান করা হয়।পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাহমুদুল আলম বলেন, পঞ্চগড়ের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দূর-দূরান্ত থেকে বালিকারা বাইসাইকেলে করে পড়তে আসে। তাদের উৎসাহ জোগাতেই এমন আয়োজন করা হয়েছে। আশা করি এর মাধ্যমে পঞ্চগড়ের এই সাহসী সাইকেল বালিকারা আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে।সফিকুল আলম/এআরএ/এবিএস

Advertisement