নিজেকে শুধু বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ ভাবতে চান না কোর্টনি ওয়ালশ। তার চিন্তা-ভাবনা আরও অনেক ওপরে। অনেক গভীরে। নিজেকে মাশরাফি, রুবেল, তাসকিন ও মোস্তাফিজদের কোচের পাশপাশি অভিভাবক ভাবতেই বেশি পছন্দ ক্যারিবীয় ক্রিকেটের সব সময়ের অন্যতম সেরা এই ফাস্ট বোলারের। বাংলাদেশে আসার পর প্রথম মিডিয়া সেশনে এ সম্পর্কে তার কথা, ‘এমন নয় আমি শুধু তাদের কোচের ভুমিকায় থাকবো। কোচিংয়ের পাশাপাশি আমি নিজেকে অভিভাবকের মতই দেখতে চাই। আমি যখন যেখানে খেলেছি, সেই ইংলিশ কাউন্টি গ্লস্টারশায়ার, জ্যামাইকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ তিন জায়গায়ই আমি মেন্টরের ভুমিকায় ছিলাম। এখানেও আমি তাই করবো। ফাস্ট বোলারদের কোচের পাশাপাশি আমার ভুমিকা থাকবে পিতার মত। আমি তাদের মেন্টর হিসেবেও কাজ করেেবা।’ খেলোয়াড়ি জীবনে তার জুটি ছিলেন আরেক ক্যারিবীয় গ্রেট ‘কার্টলি অ্যামব্রোস।’ বাংলাদেশে কোচিং করাতে এসে আরেকজন কার্টলি অ্যামব্রোসকে খুঁজে ফিরছেন ওয়ালশ। কাজ শুরুর আগে তার কন্ঠে সে আকুতি, ‘বাংলাদেশে আমি একজন অ্যামব্রোসের খুঁজবো। খেলোয়াড়ি জীবনে কার্টলি অ্যামব্রোস ক্যারিয়ারের শুরুতে আমার মুখাপেক্ষি ছিল। প্রথম দিকে আমার দিকেই তার দৃষ্টি স্থির হয়ে থাকতো। পরে এক সময় আমাদের বোঝা-পড়া ও জুটিটা হয়েছিল দারুণ। বিশ্বের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলিং জুটিও গড়ে তুলেছিলাম আমি-অ্যামব্রোস।’ অ্যামব্রোসের মত একজন ফাস্ট বোলার তৈরী করাই তার মিশন। ওয়ালশ বলেন, ‘বাংলাদেশে আমি কিছু উদ্যমি তরুণ ফাস্ট বোলারকে নিয়ে কাজ করবো, তা জানি। এখানেও আমার ও অ্যামব্রোসের মত একজোড়া ফাস্ট বোলার তৈরীর চেষ্টা করবো। বাংলাদেশে বোলিং কোচ হিসেবে এসে আমার আর অ্যামব্রোসের জুটি তৈরী করতে পারলে খুব ভাল লাগবে।’ তার বড় কোন কোচিং ডিগ্রি নেই। ফাস্ট বোলিংয়ের ওপর সে অর্থে তেমন কোন কোর্সও নেই; কিন্তু নিজে ছিলেন তুখোড় ফাস্ট বোলার। ক্যারিয়ারের শুরুতে কাছে পেয়েছেন মাইকেল হোল্ডিং, ম্যালকম মার্শাল ও জোয়েল গার্নারের মত কালজয়ী ফাস্ট বোলারদের। যাদের প্রয়োজনীয় ও সময়োচিত পরামর্শ তার ক্যারিয়ারকে করেছে সমৃদ্ধ। তাদের কাছ থেকেই তিনি জেনেছেন, কখন কোন পরিস্থিতিতে কি করতে হবে। বাংলাদেশের পেসারদের সাথে সেই শেখা ও জানা বিষয়গুলোই শেয়ার করতে চান। আর সে কারণেই তার নিজের ক্যারিয়ারে যাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব ছিল, সেই ম্যালকম মার্শাল, মাইকেল হোল্ডিং ও জোয়েল গার্নারদের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে ওয়ালশ বলেন, ‘ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে মাইকেল হোল্ডিং, মার্শাল ও গার্নার আমাকে অনেক বুদ্ধি পরামর্শ দিয়েছেন। কোন কোন পরিস্থিতি কিভাবে মোকাবিলা করতে হয়, তারা আমাকে শিখিয়েছেন। আমিও বাংলাদেশের বোলারদের উদ্দেশ্যে সে সব উপদেশ, প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সুক্ষ্ম কৌশলগুলো বন্টন করে দিতে চাই।’এআরবি/আইএইচএস/এবিএস
Advertisement