বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রস্তাব পাওয়ার পর থেকেই মাশরাফি-মোস্তাফিজদের বোলিংয়ের ভিডিও খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে শুরু করেন কোর্টনি ওয়ালশ। বাংলাদেশে কাদের নিয়ে, কোন পরিবেশে কাজ করবেন- এ বিষয়ে মোটামুটি হোমওয়ার্ক করে এসেছেন তিনি। সেখানেই তিনি দেখতে পেলেন, এ দেশে উদ্যমি এবং দারুণ প্রতিভাবান একদল তরুণ রয়েছেন, যাদের নিয়ে কাজ করতে পারলে ভালো করা সম্ভব। এরপরই তিনি সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশে আসার।বাংলাদেশে আসার পর আজ আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ওয়ালশ জানালেন, বাংলাদেশের পেস ডিপার্টমেন্টকে এমনভাবে গড়ে তুলতে চান যেটা হবে বিশ্বের অন্যতম সেরা। যখন তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে, তখন এ দেশের বোলিং স্কোয়াড হবে বেশ সমৃদ্ধ। বাংলাদেশের পেসারদের নিয়ে তো হোমওয়ার্ক করে ফেলেছেন ওয়ালশ। তো কোন পেসারকে মনে ধরেছে তার? এমন প্রশ্নের জবাবে ওয়ালশ বিশেষভাবে কারও নাম বলতে চাইলেন না। বললেন, আমি সবারই খেলা দেখেছি। বিশেষভাবে কারও নাম বলবো না। তবে এই দলটিতে বেশ কিছু সম্ভাবনাময় তরুণ পেস বোলার রয়েছে। তাদের নিয়ে সঠিকভাবে কাজ করতে পারলে আমার বিশ্বাস, এরাই একদিন বিশ্বসেরা হয়ে উঠবে। আমিও নিজের সব অভিজ্ঞতা ঢেলে দেবো বাংলাদেশের তরুণ পেসারদের পেছনে। আশা করি এরাই একদিন দুর্দান্ত পেস স্কোয়াড হিসেবে গড়ে উঠবে।’পেস বোলিং কোচ হিসেবেই বাংলাদেশে এসেছেন কোর্টনি ওয়ালশ। তবে তিনি শুধুমাত্র একজন কোচই নন, হতে চান বাংলাদেশ দলের একজন অভিভাবক, মেন্টর। কোচ হিসেবেও যখন এটাই প্রথম অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে, এ কারণে তিনি সর্বান্তকরণে চেষ্টা করবেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে বিশ্বের অন্যতম সেরা হিসেবে গড়ে তোলার। পেস বোলারদের দায়িত্ব নিয়ে তো এলেন বাংলাদেশে। তো প্রাথমিক কী লক্ষ্য ওয়ালশের? জাবাবে তিনি বলেন, ‘এখনই লক্ষ্য নির্ধারণ করে কাজে নামতে পারবো না। প্রথমে সবাইকে এক এক করে দেখতে হবে। তারপরই লক্ষ্য নির্ধারণ করবো। তবে আমার মূল লক্ষ্য হলো, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সঙ্গে যখন চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে, তখন বাংলাদেশ দলকে বিশ্বের অন্যতম সেরা পেস নির্ভর দল হিসেবেই দেখতে চাই আমি।’ এআরবি/আইএইচএস/এবিএস
Advertisement