খেলাধুলা

চ্যালেঞ্জ নিয়েই বাংলাদেশে এসেছেন ওয়ালশ

কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা মোটেও নেই কিংবদন্তী ক্যারিবীয় ফাস্ট বোলার কোর্টনি ওয়ালশের। তবুও মাশরাফি-মোস্তাফিজ-তাসকিনদের বোলিং কোচ হিসেবে তার কাঁধেই দায়িত্ব তুলে দিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেই দায়িত্ব নিতে শনিবার রাতে ঢাকায় এসে পা রাখলেন ওয়ালশ। এসে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা না বললেও, পরদিন, অথ্যাৎ আজ আনুষ্ঠানিকভাবে মুখোমুখি হলেন মিডিয়ার। সেখানেই তিনি জানিয়ে দিলেন, এক ধরনের চ্যালেঞ্জ নিয়েই বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। সেই চ্যালেঞ্জটাকে জয় করাই এখন তার আসল লক্ষ্য।ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক। তার কাছে আরও কিছু লোভনীয়  প্রস্তাব ছিল; কিন্তু সব কিছু দুরে ঠেলে দায়িত্ব নিলেন বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচের। কেন বাংলাদেশকে বাছাই করে নিলেন ওয়ালশ? এ প্রশ্নের ব্যখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বিসিবি প্রেসিডেন্ট (নাজমুল হাসান পাপন) আমাকে বলেছেন যে,  তুমিই পেস বোলিং কোচ হিসেবে আমাদের ভাবনায় আরও অনেকে আছে; কিন্তু তুমিই আমাদের প্রথম পছন্দ। বিসিবি প্রেসিডেন্টের এ কথাটা আমার বেশ ভালো লেগেছে। এ কারণেই মূলতঃ বাংলাদেশের কোচিং করানোর প্রস্তাবটা লুফে নিই।’শুধু বিসিবি প্রেসিডেন্টের কথাই নয়, আরও কারণ আছে ওয়ালশের বাংলাদেশকে প্রধান্য দেয়ার ক্ষেত্রে। সেটা হলো এ দেশের ক্রিকেটপাগল মানুষ। তিনি নিজেই বললেন, ‘বাংলাদেশে তো প্রচুর ক্রিকেট পাগল মানুষ। এখানে ক্রিকেটের মজাটাই আলাদা। এছাড়া বাংলাদেশ দলটিতে বেশ কিছু তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটার রয়েছেন। এসব ক্রিকেটারকে নিয়ে কাজ করার ব্যাপারে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠি। এ কারণেই চ্যালেঞ্জটা নিলাম।’বাংলাদেশে এর আগে আর কখনও আসা হয়নি কোর্টনি ওয়ালশের। এই প্রথম এলেন। বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দুরের, সম্পূর্ণ ভিন্ন কৃস্টি, সংস্কৃতির মানুষ। এখানে এসে চ্যালেঞ্জটা আসলে নেয়ার ক্ষেত্রে কোন বিষয়টা উদ্বুদ্ধ করেছে বেশি ওয়ালশকে? তিনি নিজেই ব্যাখ্যা দিলেন, ‘দেখুন, ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে তো আর শুধুমাত্র ওয়েস্ট ইন্ডিজেই খেলিনি! পৃথিবীর নানান দেশে খেলেছি। নানান কৃস্টি এবং সংস্কৃতির সঙ্গে মিশেছি। ভৌগলিক দুরত্ব যতই হোক, যতই সংস্কৃতির ভিন্নতা থাকুক, তবুও আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশের পরিবেশের সঙ্গে আমি মানিয়ে নিতে পারবো। এ চিন্তা থেকেই মূলতঃ এখানকার চ্যালেঞ্জটা নিতে পারলাম।’এআরবি/আইএইচএস/এবিএস

Advertisement