ভারতীয় গরু আসা বন্ধ হওয়ায় উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ ঈশ্বরদীস্থ অরণকোলা পশুর হাটে এবার দেশি গরুর আমদানি প্রচুর। ইতোমধ্যে ঈদুল আযহার প্রধান আকর্ষণ কোরবানির জন্য পশু ক্রয়ের তোড়জোড়ও শুরু হয়ে গেছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সারাদেশের কোরবানির পশুর একটি বড় অংশের যোগান দেয় ঈশ্বরদীর বিভিন্ন গ্রামের গো-খামারিরা। অন্য বছরের মতো গরু মোটাতাজাকরণ পদ্ধতিতে বড় করা গরুর প্রতি আগ্রহ নেই বেশির ভাগ মানুষের। গ্রামে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে লালন করা জিরো ফিগারের দেশি গরু ক্রয়ের দিকে এবার নজর দিচ্ছে অধিকাংশ ক্রেতা। ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণি সম্পদ অধিদফতরের হিসাব মতে, এবার চাহিদার চেয়ে গরুর পরিমাণ বেশি থাকায় এই ঈদে কোরবানির পশু নিয়ে কোনো সংকটের সৃষ্টি হবে না। এদিকে, ভারত ও মিয়ানমার থেকে কোরবানির পশু আসলে গরুর বাজার অনেক কমে আসবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। অরণকোলা পশু হাটের ইজারাদার আলহাজ্ব মিজানুর রহমান রুনু মন্ডল জানিয়েছেন, এবার এ পর্যন্ত ঈশ্বরদীর পশুর হাটে ভারতীয় পশুর আমদানি হয়নি। তিনি বলেন, এমনিতেই দেশি গরুর আমদানি ভালো। ঈদের সময় এগিয়ে এলে আমদানি আরো বাড়বে। ইজারাদারদের হিসাব মতে, স্বাভাবিক সময় প্রতি হাটে এক থেকে দুই হাজার গরু বিক্রি হয়ে থাকে। ঈদের সামনে এর পরিমাণ দ্বিগুণ হয়। গরু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার থেকে অরণকোলা হাটে কোরবানির পশু বেচাকেনা শুরু হয়ে গেছে। ঈদের আগে আরো দুটি হাট মিলিয়ে প্রায় অর্ধলাখ গরু বিক্রয়ের অপেক্ষায় রয়েছে। তারা বলেন, আজকের চেয়ে গত হাটের গরুর দাম তুলনামূলক একটু কম ছিল। ভারতীয় গরু না আসায় দাম একটু চড়া। তবে এখনো ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। আলাউদ্দিন আহমেদ/এসএস/এমএস
Advertisement