একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকরের দুই দফা মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাতে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।কারাগার সূত্র জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, কারাগারে দু’টি ফাঁসির মঞ্চ ধুয়ে-মুছে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ফাঁসির জন্য বিশেষভাবে তৈরি মোম মাখানো রশিতে বালুর বস্তা দিয়ে প্রাথমিক মহড়াটি সম্পন্ন হয়। ফাঁসি কার্যকরের দিন সর্বশেষ মহড়াটি অনুষ্ঠিত হবে।শুক্রবার দুপুরে মীর কাসেম আলী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন না বলে জেল সুপারকে জানিয়েছেন। তার প্রাণভিক্ষা না চাওয়ার লিখিত কপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। পরে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ফাঁসি কার্যকর করা হবে।ফাঁসি কার্যকরের দিন ও সময় এখনো নিশ্চিত না করা হলেও কার্যকরের আগ মুহূর্তে পরিবারের সঙ্গে শেষবারের জন্য দেখা করার সুযোগ পাবেন মীর কাসেম।উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মীর কাসেমের করা রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আবেদন খারিজের তিন দিনের মাথায় মীর কাসেম জানালেন তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন না।এআর/বিএ/এমএস
Advertisement