সাতক্ষীরায় এবার ৫ হাজার ১৭১টি পশু খামারে কোরবানির জন্য ৪০ হাজার গরু-ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে। তার মধ্যে গরু-মহিষের সংখ্যা ২৮ হাজার ৫৫০টি আর ছাগল ১১ হাজার ৮১৭টি। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সমরেশ চন্দ্র দাশ।তিনি আরো জানান, জেলার সাতটি উপজেলায় ৪০ হাজার ৩৬৭টি গরু ও ছাগল কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় শত কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। দেশি জাতের ও শংকর জাতের গরুর চাহিদা বেশি। দেবহাটার পারুলিয়া ও সাতক্ষীরা সদরের আবাদের হাট এলাকায় বসছে সবচেয়ে বড় পশুর হাট।এদিকে, তিন বছর আগেও প্রতিদিন ভারত থেকে বিভিন্ন জাতের ৪-৫ হাজার গরু বাংলাদেশে প্রবেশ করতো। সাতক্ষীরা ভোমরা বন্দর দিয়ে প্রবেশ করে চলে যেতো রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায়। কিন্তু ভারত সরকার বাংলাদেশে গরু প্রবেশ বন্ধের ঘোষণা দেয়ার পর তা বন্ধ হয়ে যায়। এখন গরু প্রবেশ নেমে এসেছে শূন্যের কোঠায়। দেবহাটার ভাতশালা এলাকার চোরাই গরু ব্যবসায়ী বজলুর রহমান জানান, বিএসএফের কঠোর কড়াকড়ি ও পাহারার কারণে এখন আর ভারত থেকে গুরু আনা সম্ভব হয় না।সাতক্ষীরা কাস্টমস এক্সাসাইজ ও ভ্যাট বিভাগের সহকারী কমিশনার মশিয়ার রহমান মন্ডল বলেন, ভারত থেকে বৈধ পথে গরু এসেছে খুবই কম। জুলাই মাসে চারটি করিডোরে গরু এসেছে মাত্র তিন হাজার ৮২০টি। সরকার রাজস্ব পেয়েছে ১৯ লাখ দুই হাজার ৮০০ টাকা। তবে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সমরেশ চন্দ্র দাশ জাগো নিউজকে বলেন, ভারত থেকে গরু না আসার ফলে দেশীয় খামারিরা লাভবান হচ্ছেন। গরুর দামও পাচ্ছেন বেশি। সাতক্ষীরার গরু খামারীরা যে পরিমাণ গরু পালন করছেন তাতে কোরবানি ঈদে গরুর চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।আকরামুল ইসলাম/এসএস/এমএস
Advertisement