পল্লী এলাকায় বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে পাঁচ লাখ ৬০ হাজার ইলেকট্রনিক মিটার কিনছে সরকার। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ‘পল্লী এলাকায় ১৮ লাখ গ্রাহকের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ সম্প্রসারণ প্রকল্পের’র আওতায় এ সিঙ্গেল ফেজ ইলেকট্রনিক মিটার কেনা হচ্ছে। পরবর্তী সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবটি উঠতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে মিটার কেনার প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।প্রতিটিতে এক লাখ ১২ হাজারটি করে পাঁচটি লটে এ মিটারগুলো কেনা হচ্ছে। পাঁচ লাখ ৬০ হাজার মিটার কিনতে মোট ব্যয় হবে ৬২ কোটি ৫৫ লাখ ২০ হাজার টাকা।১২ কোটি ৫১ লাখ চার হাজার টাকা করে প্রতিটি লটের মিটার সরবরাহের কাজ পেয়েছে মেসার্স এগ্রিপোল লিমিটেড।বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মনোয়ার ইসলাম স্বাক্ষরিত সার-সংক্ষেপে বলা হয়েছে, প্রকল্পে সাবপ্যাকেজের আওতায় তিন লাখ ৭৮ হাজার ৫০০টি সিঙ্গল ফেজ ইলেকট্রনিক মিটার সংগ্রহের সংস্থান রয়েছে। পরে ডিপিপি’র প্রাক্কলন মূল্য থেকে মিটারের বাজার মূল্য কমে যাওয়ায় পাঁচটি লটে পাঁচ লাখ মিটার সংগ্রহের ব্যবস্থা রাখা হয়। কিন্তু দরপত্র গ্রহণ করার পর সর্বনিম্ন দরদাতার প্রস্তাবিত মূল্য প্রাক্কলিত মূল্য আরও কম হওয়ায় প্রতিটি লটে মিটারের পরিমাণ ১২ শতাংশ বৃদ্ধি করে মোট পাঁচ লাখ ৬০ হাজার মিটার কেনার প্রস্তাব করা হয়েছে।পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে গত ১৭ মার্চ দরপত্র আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। দরপত্র দাখিলের শেষ তারিখে (২১ এপ্রিল) প্রথম, দ্বিতীয় ও চতুর্থ লটের প্রতিটির বিপরীতে পাঁচটি করে প্রতিষ্ঠান, তৃতীয় লটে ছয়টি প্রতিষ্ঠান ও পঞ্চম লটে চারটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে।বিদ্যুৎ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, প্রতিটি লটে এক লাখ মিটারের জন্য ১১ কোটি ১৭ লাখ টাকা দরপ্রস্তাব করে এগ্রিপোল লিমিটেড সর্বনিম্ন দরদাতা নির্বাচিত হয়। যদিও এ ক্ষেত্রে প্রাক্কলিত দর ছিল ১২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। পরে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড তাদের বোর্ড সভায় প্রতিটি লটে মালামালের পরিমাণ ১২ শতাংশ বৃদ্ধি করে। বৃদ্ধির পর প্রতিটি লটে এক লাখ ১২ হাজার মিটারের মূল্য দাঁড়ায় ১২ কোটি ৫১ লাখ চার হাজার টাকা।
Advertisement